Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকার ও সেনাবাহিনী চায় খেলাফত মজলিশ

ইসি’র সংলাপ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদের কার্যক্রম বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ। পাশাপাশি এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করারও দাবি জানিয়েছে দলটি।
একই সঙ্গে ধর্মবিরোধী কোনো দলকে নিবন্ধন না দিতে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সেই সঙ্গে ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন না করার পরামর্শ দিয়েছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসির সংলাপে দলটি এ দাবি জানিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো. নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় দলটির মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। ইসির পক্ষে সংলাপে সিইসি ছাড়াও অপর চার নির্বাচন কমিশনার, ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংলাপ সংশিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে সংসদ ভেঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সেনাবাহিনী (নির্বাচনের ৭দিন আগে থেকে নির্বাচন পরবর্তী ৭২ঘন্টা) মোতায়েনসহ ১৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছে খেলাফজ মজলিশ। এসব প্রস্তাবসমূহের মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় ইসির অধীনে রাখা, কালোটাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ, ধর্ম ও স্বাধীনতা বিরোধি দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল, অনলাইনে মনোনায়ন জমা, সবার জন্য লেবেল পেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিস্পত্তি করা, একই পোস্টারে সকল প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং একই মঞ্চে সকল প্রার্থীর বক্তব্যর ব্যবস্থা করা, জামানতের সঙ্গে এসব খরচের টাকা প্রার্থী বা দল থেকে নেওয়া।
বৈঠকের পর দলটির মহসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আইনের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করার জন্য একজন কমিশনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করাসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছি। আমাদের দাবি প্রায় ৮০ শতাংশ নির্বাচন কমিশনের মতের সঙ্গে মিলেছে বলে কমিশন আমাদের জানিয়েছে।’
বৈঠকে শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলটি যেসব সুপারিশ ইসিকে বাস্তবায়নের জন্য তুলে ধরেছে তার সবগুলো তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তবুও দলটি দাবি জানিয়ে আমাদেরকে বলেছে, এখতিয়ার বহির্ভূত প্রস্তাবসমূহসহ সবগুলোই বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের কাছে পাঠাতে। তবে সংলাপ শেষে একীভূত সুপারিশ পর্যালোচনা করে উপস্থাপনযোগ্য প্রস্তাবগুলো আমরা সরকারের কাছে পাঠাব, যা কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।’
এদিকে বিকালে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা ছিলো। তবে দলটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব অসুস্থ থাকায় সংলাপে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, যা গত সোমবার চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছিল ইসিকে। এরআগে উত্তরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের কথা বলে সংলাপে অংশ নেয়নি। তবে ইসির সিদ্ধাস্ত রয়েছে, যৌক্তিক কারণে কোন দল সংলাপে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হলে সংশিষ্ট দলকে পরবর্তীতে নতুনসূচি নির্ধারণ করে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে। গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করে নির্বাচন কমিশন। পরে ১৬ ও ১৭ অগাস্ট অর্ধশত গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিভিন্ন পরামর্শ নেয় ইসি। এরপর ২৪ অগাস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করে ইসি। এ পর্যন্ত আটটি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ হলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ