চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা
(১) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, প্রচলিত শাসন ব্যবস্থা মজলুম মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে। মজলুম মানুষের আর্তনাদে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠছে। চা দোকানীকে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতদের নির্যাতনে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। নিহতের পরিবারের আর্তনাদে শাহআলী এলাকা ভারি হয়ে উঠছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে ইসলামের ছায়াতলে ফিরে আসতে হবে। যেখানে শাসক মানে জনগণের খাদেম। ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানা শাখার মেরাজনগর ৯নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলহাজ ইমাম হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং মুহা. নাছির উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কদমতলী থানা সভাপতি মাওলানা শাহজাহান নেজামী, সেক্রেটারি মাওলানা ক্বারী বাছির উদ্দিন মাহমুদ, শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। আলোচনা সভা শেষে মাওলানা মোঃ মনির হোসাইনকে সভাপতি, মুহা. আবদুল জলিলকে সহ-সভাপতি, মুহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে সেক্রেটারি ও মুহা. নজীল আহমদকে জয়েন্ট সেক্রেটারি করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট ৯নং ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানাভাবে ইসলামকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এখন মসজিদের খতিব ও খুৎবাহ নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত দিচ্ছে। এটা করলে ইসলামী জনতাকে সেন্টিমেন্টাল করে তুলবে। ফলে দেশে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করবে। কাজেই ইফা ডিজির লাগাম টেনে না ধরলে ইসলামকে সর্বনাশ করে ফেলবে। অবিলম্বে ইফা ডিজির অপসারণ করে ইসলামী জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করতে হবে। এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সূত্রাপুর থানা শাখার দাওয়াতী সভা স্থানীয় একটি মিলনায়তনে ডা. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় নেতৃবন্দ ও উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।
(২) আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে সংগঠনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সভা গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মু. বরকত উল্লাহ লতিফ প্রমুখ। মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শবান নেতা নির্বাচনের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করছে। তাছাড়া রাজনীতিতে গুণগত ও আদর্শিক পরিবর্তন ছাড়া মানবতার কাক্সিক্ষত মুক্তি সম্ভব নয়। ইসলামই মানবতার মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি। একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালোটাকার মালিক, লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখ্যান করে দেশপ্রেমিক ইসলামী নেতৃত্বকে নির্বাচিত করতে হবে। তাই আসন্ন ২২ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শান্তির প্রতীক হাতপাখা মার্কায় ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
তিনি বলেন, জাতির প্রয়োজনে দেশের চরম সন্ধিক্ষণে মহান রব্বুল আলামীনের প্রতি পূর্ণ ভরসা রেখে জাহেলী সমাজ ও ঘুণেধরা রাষ্ট্র ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ছাড়া এদেশের মানুষের ভাগ্যের কাক্সিক্ষত পরিবর্তন সম্ভব নয়। পরিবর্তনের এই বিপ্লবের সূচনা করতে না পারলে জাতিকে আরো চরম খেসারত দিতে হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।