চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ইসলামী যুব আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলামের প্রথম যুগে মক্কার কাফের- মুশরিকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল যুবকরা। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে আসন গেড়ে বসা জাহিলিয়াতকে দূর করে হারানো সুদিন ফিরিয়ে আনতে দেশের যুবসমাজকে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। আর আদর্শবান এই যুবকদের নেতৃত্ব দেবে ইসলামী যুব আন্দোলন।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহযোগী সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির দায়িত্বশীলদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এ কথা বলেন। তিনি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সাতপ্রকার মানুষ আরশের ছায়াতলে স্থান পাবে, তাদের মধ্যে একপ্রকার হলো ঐসব যুবক, যারা আল্লাহর ইবাদত করে। পীর সাহেব বলেন, সন্ত্রাস-দুর্নীতি-খুন-ধষণসহ সকল অপকর্মমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ করতে যুবকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ একদল ভালো যুবকই পারে সমাজের অন্ধকার দূর করে আলো ফিরিয়ে আনতে।
যুব আন্দোলন মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কেএ আতিকুর রহমান ও সদস্য সচিব মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, নগর নেতা মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, আলহাজ আলতাফ হোসাইন, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী। অনুষ্ঠানের শেষে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন ও শপথ পাঠ করান পীর সাহেব চরমোনাই। ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম নাঈম ও সদস্য সচিব মুরাদ হোসাইন এবং দক্ষিণের আহ্বায়ক ফজলুল হক মৃধা ও সদস্য সচিব মুফতি মনসুর আহমাদকে মনোনীত করা হয়।
খেলাফত আন্দোলন
আজ ২৫ অক্টোবর রোজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমিরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর-এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ মজলিসে আমেলা (কার্য নির্বাহী পরিষদ)-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান কমিটি ভেঙে মাওলানা শাহ আতাউল্লাহকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট এক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান, আমিরে শরীয়ত হযরত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মুহাম্মাদ জাফরুল্লাহ খান, শাইখুল হাদীস ছোলাইমান নোমানী, মাওলানা আব্দুর রহমান চেয়ারম্যান, আলহাজ আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা হাবিবল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা জিয়াউল হক শহিদী, মাওলানা ইউসুফ ফেনী, আলহাজ জালাল উদ্দিন বকুল, ডাক্তার নেয়ামত আলী ফকির, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা আব্দুল মান্নান ও মাওলানা সানাউল্লাহ প্রমুখ।
সভায় আগামী ২৯ নভেম্বরের বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাঁকজমকভাবে প্রতিনিধি সম্মেলন ২০১৬ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।