Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার রিট শুনানী ২৫ অক্টোবর

| প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : গতকাল ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৯ নং আদালতে ফেলানী হত্যা বিষয়ে ফেলানীর বাবার করা রিট মামলার শুনানী’র তারিখ নির্ধারিত ছিল। বিজ্ঞ বিচারপতি রামায়ন ও বিজ্ঞ বিচারপতি অমিতাভ রায়ের যৌথ বেঞ্চ রিট শুনানীর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন ২৫অন্টোবর। একই বিষয়ে পৃথক দুটি রিট থাকায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত বেঞ্চের বিচারক দ্বয় যে কোন একটি রিট শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট আইজীবীদের সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। কারণ ফেলানীর হত্যা বিষয়ে প্রথম রিট আবেদন করেন ভারতের বিশিষ্ট আইনজীবী অপর্না ভাট। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু’র অনুরোধে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ভারতের সুপ্রীম কোর্টে ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই অপর রিট মামলাটি দায়ের করেন।
ফেলানী হত্যা মামলায় ফেলানীর বাবাকে সহায়তাকারী আইনজীবী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাবার সাথে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পাড় হতে গিয়ে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী। দেশ ও বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে একে একে দুবার বিএসএফ তার নিজস্ব আদালতে বিচারের মুখোমুখি করে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে। কিন্তু দু’বারই খালাস পেয়ে যান অমিয় ঘোষ। ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সহায়তায় ফেলানী হত্যার বিচার ও ক্ষতিপুরণ চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবেদনটি গ্রহন করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ কয়েকটি সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। রিট মামলার নম্বর-২৪১ নম্বর-২০১৫।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি অনন্তপুর সীমান্তে ফেলানী খাতুনকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার নং ৯৪৭ এর কাছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়। এ ঘটনার পর বিএসএফ তার আদালতে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করে। ২ বৎসর ৮মাস পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ রায় দেন বিএসএফ এর আদালত। সেই রায় যতার্থ মনে করেনি বিএসএফ মহাপরিচালক। তিনি রায় পুর্নবিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর ২ জুলাই ২০১৫ বিএসএফ কোর্ট অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে আবারও নির্দোষ বলে পুনরায় রায় দেন।
এ ব্যাপারে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা মাসুম’কে উচ্চ আদালতে মামলাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করার অনুরোধ করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ভারতের সুপ্রীম কোর্টে ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই এ রীট মামলাটি দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ