২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
মুখের অভ্যন্তরে আলসার বা ক্ষত যদি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই তা গুরুত্বের সাথে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে কোনো ধরণের অস্বাভাবিকতা আছে কিনা? অনেক সময় দেখা যায় মুখের আলসারের চিকিৎসা প্রদানের পর আলসার ভাল হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন পর আবার আলসার দেখা দেয়। সব সময় রোগের কারণে এমন হয় না, বরং কিছু খাবার গ্রহণের কারণে এ ধরণের আলসার দেখা দিতে পারে। বøুবেরি, ষ্ট্রবেরি, ব্রæকলি অর্থাৎ স্যালিসাইলিক এসিড বিদ্যমান এমন ফল গ্রহণের জন্য মুখে আলসার হতে পারে। এ সব ফলে কারো কারো সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। চকলেটে থিওব্রোমিন নামক এলকালয়েড রয়েছে যা মুখের অভ্যন্তরে আলসার সৃষ্টি করতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়, শুধুমাত্র যাদের থিওব্রোমিন এলকালয়েডের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে। তাই কারো মুখে বার বার আলসার দেখা দিলে এ সব খাবার কিছু দিনের জন্য বন্ধ রেখে দেখা যেতে পারে অবস্থার কোনো উন্নতি বা পরিবর্তন হয়েছে কিনা? কখনো কখনো মুখের আলসার দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। মুখের অভ্যন্তরে আলসার যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে সে ক্ষেত্রে দেখে নেওয়া ভাল যে আলসারটি ভাইরাসজণিত কিনা? কারণ সাইটোমেগালো ভাইরাসের কারণে আলসার হলে তা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। মুখের ইরোসিভ লাইকেন প্ল্যানাসে মুখের অভ্যন্তরে বিশেষ করে গালে আলসার বা ক্ষত দেখা দিয়ে থাকে। লাইকেন প্ল্যানাস যেহেতু দীর্ঘমেয়াদে অবস্থান করতে পারে তাই লাইকেন প্ল্যানাস থেকে যেন মুখে স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা (ক্যান্সার) হতে না পারে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া লাইকেন প্ল্যানাসের সাথে হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাসের যোগসূত্র রয়েছে। তাই লাইকেন প্ল্যানাসের ক্ষেত্রে বায়োপসি করার আগে দেখে নেওয়া প্রয়োজন রোগীর দেহে ‘সি’ ভাইরাস আছে কিনা? কিছু বিশেষ ভিটামিনের অভাবে বার বার মুখে আলসার দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিটামিন খেলে চলবে না বরং দেখতে হবে ভিটামিনের অভাব দেখা দিল কেন? অভাবের কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। আবার কিছু মিনারেলস্ বা খণিজের অভাবের কারণে মুখে বার বার আলসার হতে পারে। মুখে বার বার আলসার হলে মুখস্ত কোনো ওষুধ সেবন করতে যাবেন না। আপনি ভেবে থাকতে পারেন ভিটামিন ও মিনারেল সেবন করলেই আপনি ভাল হয়ে যাবেন। এমন অনুমান ভিত্তিক সিদ্ধান্ত থেকে মুখস্ত ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এমনও দেখা যায় ভিটামিনের অভাবজণিত কারণে নয় বরং ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু রোগের কারণে খাদ্যদ্রব্য শোষিত হতে না পেরে মুখে বার বার আলসার হচ্ছে। আর রোগীও বার বার ওষুধ পরিবর্তন করছেন ভাল হওয়ার জন্য। কিন্তু বিষয়টি মোটেই সঠিক নয়। আপনাকে একটি কথা মনে রাখতে হবে এমনও ভিটামিন রয়েছে যা অধিক পরিমাণ সেবন করলে কিডনীতে পাথর পর্যন্ত হতে পারে। তাই হতাশ না হয়ে মুখের আলসারের যথাযথ কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই আপনার লাইফ ষ্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
ষ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।