Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি

আইয়ুব আলী | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম নগর জুড়ে এখনো ঈদের আমেজ। ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটির পর সোমবার থেকে অফিস আদালত খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি এখনো কম। রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা। তবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের দিন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য দর্শনার্থীর সমাগম না হলেও ঈদের পরদিন থেকেই বিনোদন পিয়াসী নানা বয়সের মানুষের ঢল নেমেছিল বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। মাঝে মাঝে ঝিরঝির বৃষ্টি পরক্ষণে রোদের তীব্রতা কোনটাই যেন তাদের এ আনন্দে বাঁধ সাধতে পারেনি। বিশেষ করে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়’স লেক, সী-ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্ক, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সংলগ্ন বাটারফ্লাই, আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, কাজির দেউড়ি শিশু পার্কে দর্শনার্থীদের প্রচুর ভিড় রয়েছে। তবে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডে। প্রতিটি উৎসব আসলেই ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এবার ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য দশ দিনব্যাপী নানা আয়োজন রয়েছে। কনসার্ট ও মিউজিক্যাল শো ও ডিজে গানের সুরে তরুণ-তরুণীরা ঈদের আনন্দে সামিল হয়েছে।
এদিকে আনোয়ারার পারকি সৈকতসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। মহানগরী ফাঁকা হলেও দর্শনার্থীর ভাড়ে ঠাসা প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র। উৎসব পাগল মানুষ ভিড় করছে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের ছুটি শেষ হলেও শেষ হয়নি ঊৎসবের আমেজ। শিশু-কিশোর ছাড়াও সব বয়সের মানুষের ভিড় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যার পর মানুষের ঢল নামছে। সারাদিন লোকে লোকারণ্য থাকছে পুরো সৈকত। মহানগরীর বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও সেখানে পর্যটকরা আসছেন। তবে ফিরতি পথে পর্যটকদের যানবাহন সংকটের কবলে পড়তে হচ্ছে। একই অবস্থা ফয়’স লেকেও। শত শত দর্শনার্থীর ভিড়ে পুরো এলাকা এখন জনারণ্য। ফয়’স লেকের চিড়িয়াখানায়ও দর্শনার্থীদের ভিড়। ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষ ভিড় করছেন পশু-পাখির খাঁচার সামনে।
চট্টগ্রামে রয়েছে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভার। দেশের সকল বিনোদন কেন্দ্রের চাইতে চট্টগ্রামে রয়েছে সবচাইতে বেশি বিনোদন সুবিধা। প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও রয়েছে ফয়’স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, কাজির দেউড়ি শিশু পার্ক, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংলগ্ন স্বাধীনতা পার্ক, জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, আগ্রাবাদ প্রতœতাত্তি¡ক জাদুঘর, নেভাল এভিনিউ মেরিটাইম মিউজিয়াম, ওয়ার সেমিট্রি, ডিসি হিল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে বাটারফ্লাই পার্ক। নগরীর বাইরে আনোয়ারা পারকি বিচ এবং শাহ মোহছেন আউলিয়া কলেজের পাশে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা হিলটপ পার্ক, সীতাকুÐ ইকোপার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বারৈয়াঢালা সহস্রধারা জলপ্রপাত, বোয়ালিয়াকুল সমুদ্র সৈকত, সানসেট পয়েন্ট, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত ও মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক। এখন উল্লেখিত বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে।
শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েসহ তাদের অভিভাবকরা ঈদের পরদিন থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত হিলটপ পার্কের কর্ণধার মইনউদ্দিন আহমদ চৌধুরী মেন্না জানান, প্রতিনিয়ত এ পার্কে দর্শনার্থী আসে। এখন ঈদকে ঘিরে প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত সৌন্দর্যে ঘেরা বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঈদের পরদিন থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ভিড় করছে। নগরীর শিশুদের বিনোদনের সুবিধার্থে গড়ে উঠা বিনোদন কেন্দ্র আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্কে এখন বিভিন্ন বয়সের শিশুদের উপচেপড়া ভিড়। এখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে চুকচুক গাড়ি, ভয়েজার বোট, ক্যাবল ট্রেন, দোলনা ও অন্যান্য সামগ্রী। চট্টগ্রামে আরেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়ে উঠা ডিসি হিল পার্ক। পাহাড়ের উঁচুনিচু ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে ডিসি হিলেও বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ভিড় করছে। নগরীর পাহাড়তলীতে অবস্থিত পাহাড়ের পাদদেশে লেক সমৃদ্ধ এ বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক। এ লেকে ঈদকে ঘিরে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। ফয়’স লেকের সামনে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া নগরীর বাইরে সীতাকুÐের চন্দ্রনাথ মন্দির ও ইকোপার্কেও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ