পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথম জয়লাভের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই বিজয় দেশবাসীর প্রতি ক্রিকেটারদের পবিত্র ঈদের উপহার। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়, কোচ এবং জাতীয় দল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সকল কর্মকর্তাকে এই ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতার ফলেই এই ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি স্মরণ করেন যে, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালেই বাংলাদেশ দীর্ঘ প্রতীক্ষিত টেস্ট স্ট্যাটাস এবং ওয়ান ডে স্ট্যাটাস অর্জন করে। বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিজয়ের এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্ব কাপ জয় করবে।
গতকাল টাইগাররা যখন মিরপুর স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজে ১ম ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে যখন ঐতিহাসিক বিজয়লাভের দ্বারপ্রান্তে শেখ হাসিনা তখন ম্যাচটি সরাসরি উপভোগ করতে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হন। টাইগারদের বিজয় অর্জনে তখন আর মাত্র দুই উইকেট বাকি। টেস্ট ম্যাচের চতুর্থদিনে দুপুরের পরই টাইগাররা অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানের ব্যবধানে হারায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তা পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি ম্যাচের সমাপ্তি পর্ব উপভোগ করেন এবং স্টেডিয়ামের ভিভিআইপি গ্যালারি থেকে জাতীয় পতাকা নেড়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেন।
নাতিকে নিয়ে ক্রিকেট দেখতে স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিজয়ের মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল একটি শিশু। শিশুটি প্রধানমন্ত্রীর নাতি। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছেলে জারিফ।
নাতিকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের ৭০তম ওভারে ভিভিআইপি প্রেসিডেন্ট বক্সে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় মিরপুর স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে বারবার ভেসে উঠছিল নাতিসহ প্রধানমন্ত্রীর হাস্যোজ্জ্বল মুখ।
শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তিন কন্যা এবং এক পুত্রের জননী। পুতুলের একমাত্র ছেলেকে নিয়েই বাংলাদেশের জয়ের মুহুর্ত উপভোগ করেন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।
ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররা বোর্ড সভাপতির কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সাকিব-তামিমদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি। পুরো সময়টা তার সঙ্গে ছিল নাতি জারিফ।
বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, প্রধানমন্ত্রীর নাতি ক্রিকেট ভীষণ পছন্দ করে। সে ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে, সবার সঙ্গে কথা বলেছে।
বুধবার স্টেডিয়ামে প্রবেশের পর জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রীকে দেখানোর সঙ্গে-সঙ্গে দর্শকদের মধ্যে দেখা যায় বাড়তি উচ্ছ¡াস। কিছুক্ষণ পরই অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ২০ রানের জয়ে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এখন ১-০তে এগিয়ে।
ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাত উইকেট পড়ে গেলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা জোরালো হয়ে ওঠে। সেই বিজয় উদযাপনে লাঞ্চ ব্রেকের পর স্টেডিয়ামে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের বোলার তাইজুল ইসলাম অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটসম্যান হেইজেলউডের উইকেট তুলে নিলে প্রধানমন্ত্রী আসন থেকে উঠে দাঁড়ান। পাশে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ সময় সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেন জাতীয় পতাকা। নাতিকে পাশে নিয়ে সেই পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশের বিজয় উদযাপন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কিছুক্ষণ
বাংলাদেশ দলের খেলা, আর দর্শক হিসেবে মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন যেন এ চিত্র একসূত্রে গাঁথা। অস্ট্রেলিয়া টেস্টেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এর আগেও অনেকবার তিনি মাঠে বসে মাশরাফি-মুশফিক-সাকিবদের উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন।
তাইজুল ইসলামের বলে জশ হ্যাজলউড এলবিডবিøউ হতেই পুরো গ্যালারি প্রকম্পিত হয়ে উঠে। ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বাধভাঙা উচ্ছ¡াসে মেতে ওঠেন। ওখানেই শেষ হয়নি। সাকিব-তামিমদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছেন তিনি। ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রাখা সাকিবকে আদর করছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পাশে অধিনায়ক মুশফিক, প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, তামিম ইকবাল ও বোর্ড সভাপতিও ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।