Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইনি পথে চিফ জাস্টিসকে অপসারণ করা অসম্ভব

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তথা সুপ্রিমকোর্টের সাথে সরকারের তীব্র বিরোধ সম্পর্কে আমি বাংলাদেশের সংবিধান আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক নিয়ে যতদূর সম্ভব ব্যপকভাবে পড়াশোনা করেছি। আমি নিজে এখন এ ব্যাপারে কনভিন্সড যে, প্রধান বিচারপতিকে সাংবিধানিক পথে বা বৈধ পথে কোনোভাবেই অপসারণ করা যাবে না। তাকে অপসারণ করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। যারা সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ নিয়ে মাতামাতি করছেন এবং ভাবছেন, ৯৭ অনুচ্ছেদের ফাঁক-ফোকর দিয়ে প্রধান বিচারপতি সিনহাকে বের করে দেবেন তাহলে তারা আহম্মকের বেহেশতে বাস করছেন। তারা ভুলে গেছেন যে, ৯৭ অনুচ্ছেদের ঠিক ওপরে আছে ৯৬ অনুচ্ছেদ। ঐ দিকে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল হয়ে গেছে এবং কাউন্সিলের একটি বৈঠক এরমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখন যদি ৯৭ অনুচ্ছেদের অপব্যবহার করে তাকে অপসারণ করতে হয় তাহলে সরকারকে ৯৬ অনুচ্ছেদ মাড়িয়ে আসতে হবে। আর সেখানেই অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে আছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। এ সম্পর্কে কিছুক্ষণ পরে আমি আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো। তার আগে একটি কথা বলতে চাই, যদি জোর যার মুল্লুক তার, এই নীতি খাটানো হয়, তাহলে সেটি সম্পূর্ণ আলাদা কথা। এখন যদি অসাংবিধানিক পন্থায়, উচ্ছৃঙ্খলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, তার সাথে টোটাল নন কো-অপারেশন করে, তার জীবনটাকে দুর্বিষহ করে তোলা হয় তাহলে সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। তাহলে হয়তো তিনি ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন। এছাড়া তাকে সরাবার আর কোনো উপায় নেই।

বলছিলাম ৯৭ অনুচ্ছেদের কথা, ‘প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে প্রধান বিচারপতি তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট সন্তোষজনক ভাবে প্রতীয়মান হইলে ক্ষেত্রমত অন্য কোনো ব্যক্তি অনুরূপ পদে যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা প্রধান বিচারপতি স্বীয় কার্যভার পুনরায় গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপীল বিভাগের অন্যান্য বিচারকের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণতম, তিনি অনুরূপ কার্যভার পালন করিবেন।’
সুপ্রিয় পাঠক, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা অসুস্থ নন, অনুপস্থিতও নন। তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ, এটি প্রেসিডেন্টের নিকট কীভাবে প্রতীয়মান হবে? তিনি মনে করলেন যে, প্রধান বিচারপতি অসমর্থ, আর তিনি অসমর্থ হয়ে গেলেন, বিষয়টি এতো সোজা নয়। এখানেই আসছে ৯৬ অনুচ্ছেদ। ৯৬(৩) উপ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকিবে যাহা এই অনুচ্ছেদে কাউন্সিল বলিয়া উল্লেখিত হইবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুইজন কর্মে প্রবীণ তাঁহাদের লইয়া গঠিত হইবে।’
৯৬(৪) উপ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:
কাউন্সিলের দায়িত্ব হইবে, (ক) বিচারকগণের জন্য পালনীয় আচরণ বিধি নির্ধারণ করা; এবং
(খ) কোনো বিচারকের অথবা কোনো বিচারক যেরূপ পদ্ধতিতে অপসারিত হইতে পারেন সেইরূপ পদ্ধতি ব্যতীত তাঁহার পদ হইতে অপসারণ যোগ্য নহেন এইরূপ অন্য কোনো পদে আসীন ব্যক্তির সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করা।
(৫) যে ক্ষেত্রে কাউন্সিল অথবা অন্য কোনো সূত্র হইতে প্রাপ্ত তথ্যে রাষ্ট্রপতির এইরূপ বুঝিবার কারণ থাকে যে কোনো বিচারক-
(ক) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে তাঁহার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করিতে অযোগ্য হইয়া পড়িতে পারেন, অথবা
(খ) গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হইতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলকে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করিতে ও উহার তদন্ত ফল জ্ঞাপন করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন।
(৬) কাউন্সিল তদন্ত করিবার পর রাষ্ট্রপতির নিকট যদি এইরূপ রিপোর্ট করেন যে, উহার মতে উক্ত বিচারক তাঁহার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে অযোগ্য হইয়া পড়িয়াছেন অথবা গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হইয়াছেন তাহা হইলে রাষ্ট্রপতি আদেশের দ্বারা উক্ত বিচারককে তাঁহার পদ হইতে অপসারিত করিবেন।
(৭) এই অনুচ্ছেদের অধীনে তদন্তের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল স্বীয় কার্য-পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করিবেন এবং পরওয়ানা জারী ও নির্বাহের ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের ন্যায় উহার একই ক্ষমতা থাকিবে।
\দুই\
৯৬ অনুচ্ছেদের বিভিন্ন উপ অনুচ্ছেদ থেকে দেখা যাচ্ছে যে, দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সরকারি দল যদি প্রেসিডেন্টকে দিয়ে ৯৭ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করতেও চায় তাহলে সেখানেও তাকে নির্ভর করতে হবে কাউন্সিলের রিপোর্টের ওপর। আর কাউন্সিলের মেম্বার হবেন তারাই যারা ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করার সর্বসম্মত রায় দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন অর্থাৎ নাজমুন আরা সুলতানা অবসর গ্রহণ করেছেন। অবশিষ্ট ৬ জন এখনও চাকরিতে বহাল আছেন এবং আরো বেশ কিছু দিন বহাল থাকবেন। তারা তো আর নিজেদের রিপোর্ট নিজেরাই বাতিল করতে পারেন না। সে জন্যই বলেছি, প্রধান বিচারপতি সিনহাকে অপসারণ করার কোনো রাস্তা নেই, যতক্ষণ না তিনি নিজে ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে সরে না যান এবং একই কারণে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ও বহাল থাকবে।
\তিন\
তাকে ত্যাক্ত-বিরক্ত করতে অথবা পদত্যাগে বাধ্য করতে একটার পর একটা হাতিয়ার প্রয়োগ করা হচ্ছে। সর্বশেষ হলো, তার আয়কর রিটার্ন নিয়ে অসঙ্গতি দেখানো। দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক, ৭১ টেলিভিশনে রিপোর্ট করা হয়েছে যে, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আয়কর রিটার্ন ও স্থাবর সম্পত্তিতে অসঙ্গতির তথ্য মিলেছে। গত বছর নভেম্বরে দাখিল করা আয়কর রিটার্নে ভাইয়ের নামে বরাদ্দ রাজউকের প্লটের ওপর নির্মিত বাড়ি নিজের নামে দেখিয়েছেন তিনি। আবার নিজের নামে বরাদ্দ প্লট আয়কর রিটার্নে দেখাননি। প্রধান বিচারপতির ভাইয়ের প্লটের আকার-আয়তনও বদল হয়েছে। উত্তরায় ওয়াসার পানির পাম্পের ভেতরে দেয়াল তুলে ওই প্লটটি তৈরি করে রাজউক। এ বিষয়ে শনিবার বেসরকারি টেলিভিশন ৭১-এ বিস্তারিত প্রতিবেদনও প্রচার করে। ৭১ টেলিভিশন যে রিপোর্টটি সম্প্রচার করে সেটির প্রধান ভিত্তি হলো দৈনিক জনকণ্ঠের একটি রিপোর্ট। পরিষ্কার বোঝা যায় যে, ঠিক লাইনে লাইনে কাজ হচ্ছে।
এখানে একটি বিষয় আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার বলতে চাই। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করেন অথবা কারো আয়কর রিটার্ন দাখিলে অসঙ্গতি দেখা যায় তাহলে আইন অবশ্যই তার নিজস্ব পথে চলবে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ অবলম্বনের সুযোগ নেই। কিন্তু প্রধান বিচারপতির আয়কর রিটার্নে অসঙ্গতির ব্যাপারে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এ ব্যাপারে যা বলেছেন সেটি এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন, যখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখনই কেনো প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে কোন ষড়যন্ত্র আছে। ফারজানা রূপা’র সঞ্চালনায় ৭১ টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠানে একাত্তর জার্নালে তিনি একথা বলেন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়া, প্রকাশ, তৈরি করার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের চর্চা খুব বেশি অগ্রসর না। বিভিন্ন সময় এটা দেওয়া-নেওয়ার কথা শুনা যায় কিন্তু তার আর নেওয়া বা দেওয়া হয়নি। বাস্তবে এটি হয়নি।
প্রধান বিচারপতির আয়কর বিবরণীর অসঙ্গতি নিয়ে আগে কেনো কথা হলো না। ষোড়শ সংশোধনী রায়ের আগে কেনো এসব নিয়ে কথা বলেনি সরকার বা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পরে ৭ বিচারপতির মধ্যে শুধু প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মিডিয়ায় তোলপাড় করা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি ছাড়া আরও অনেকে আছে যারা আয়কর বিবরণী জমা দেয়নি। তাদের নিয়ে তো এমন টানা হেঁচড়া করা হয়নি। তবে যদি কোন অনিয়ম কোথাও হয়, বিচার বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগতভাবে সুরাহা করা হবে। তবে কথা হচ্ছে, যখন ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আলোচনা চলছে তখনই প্রধান বিচারপতির পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একেক দিন একেক খবর আসছে। এটার পিছনে অব্যশই কোন ষড়যন্ত্র আছে।
\চার\
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, the dog a bad name and hang it. অর্থাৎ কাউকে যদি শায়েস্তা করতে হয় তাহলে আগে তার সুনাম ও সন্মান হানি করো। এই মহাজনী পথটি অনুসরণ করা হচ্ছে বেশ কিছুদিন হলো। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো এই যে কর্তৃপক্ষ যখন কাউকে টার্গেট করে তখন সেই টার্গেট শিকারে সহযোগিতা করে মিডিয়ারই একটি অংশ। ২০১৩ সালের পর বিশেষ করে ২০১৪ সাল থেকে এই মহাজনী পন্থাটি ব্যাপকভাবে এস্তেমাল করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে হঠাৎ করে ঐ চিহ্নিত টেলিভিশন এবং একশ্রেণির মুখ চেনা প্রিন্ট মিডিয়া অত্যন্ত মারাত্মক অভিযোগ আনে। দুই তিনদিন নিউজে এবং টক’শোতে তার বিরুদ্ধে অবিরাম প্রচারণা চালানো হয়। তখনই বোঝা যায় যে, ঐ নেতার বিরুদ্ধে দমননীতির খড়গ নেমে আসছে। বাস্তবেও তাই ঘটলো। সেই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ২ বছর তাকে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে দুঃষহ জীবন কাটাতে হয়। তারপর এই সুপ্রিমকোর্টের রায়ে তিনি টেম্পোরারি জামিন পান। আজ আড়াই বছর হয়ে গেল তার বিরুদ্ধে সরকার কোনো অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেনি। এই রকম আচরণ আরো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা এবং নাগরিক সমাজের নেতাদের সাথে করা হয়েছে। কিন্তু কেনোটিরই বিচার হয়নি।
১৯৯৯ সালে বিচারপতি সিনহা হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর পর তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হন। সেখান থেকে তাকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে প্রমোশন দেওয়া হয়। এর পর শেখ হাসিনার আমলে তিনি প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। একবার জাস্টিস হিসেবে নিয়োগ এবং পরে তিন তিনবার প্রমোশন হয় তার। এই চার বারের একবারও কি তার ব্যক্তিগত সহায়-সম্পদ খতিয়ে দেখা হয়নি? সুপ্রিমকোর্টের চিফ জাস্টিস হিসেবেও তিনি চার বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। আর ৫ মাস পর তিনি অবসরে চলে যাবেন। এই ৪ বছরে একবারও তার সম্পত্তির হিসাব নিকাশ নেওয়া হলো না কেন? যেই তিনি ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করলেন, ওমনি সরকারের আঁতে ঘা লাগে। আর তাড়াহুড়া করে গত নভেম্বর মাসে দেওয়া আয়কর রিটার্ন নিয়ে পোঁকা বাছা শুরু হয়। যদি তিনি ষোড়শ সংশোধনী বাতিল না করতেন তাহলে কিছুই হতো না। এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে যদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তখন জনগণের কাছে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। সেটি এই সরকারের জন্য ভাল হবে না।
[email protected]



 

Show all comments
  • আবুল হোসাইন ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ৮:৪২ পিএম says : 0
    সাংবিধানিক ভাবে থাকুন যা হবার হবে,বিরের মর্যাদা পাবেন।ইতিহাসে স্বর্নাহ্মরে নাম লেখা থাকবে
    Total Reply(0) Reply
  • Zafar ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৪:৩৭ পিএম says : 0
    That is nathing for awami league.This party Evreything can do.Becouse now thats name is Goom Party.
    Total Reply(0) Reply
  • Arifur Rahman ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:২৬ পিএম says : 0
    স্বর্নাহ্মরে নাম লেখা থাকবে.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধান বিচারপতি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ