পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিচার বিভাগ সংবিধানের প্রতিনিধিত্ব করছে, জনগণের নয়। তিনি (প্রধান বিচারপতি) এই রায় দিয়ে তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্বও করতে চায়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের উদ্দেশ্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নয়, বরং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বকে বিতর্কিত করা। এছাড়া তার এ বক্তব্য সামরিক শাসনের জঞ্জালকে পুনরায় টেনে আনার অপপ্রয়াস, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও বিদ্বেষমূলক। এ রায় যুক্তিনির্ভর নয়, অগ্রহণযোগ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, রায়ের পরেও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে বলেই রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার মাত্রা কিছুটা তীব্র। পাকিস্তানের উদাহারণ টেনে এনে প্রধান বিচারপতি নিজেই উত্তেজনা বাড়িয়েছেন। তিনি বলেন, এ রায় কোনও সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেনি এবং সরকার ও বিচার বিভাগকে মুখোমুখিও করেনি। এ রায়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনেরও কিছু নেই। সরকার পরিচালনায় কোনও প্রভাবও ফেলবে না। কোনও অচল অবস্থাও তৈরি হবে না। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে বিচারকাজ ও বিচার প্রক্রিয়ায় সরকার বা বাইরের কোনও হস্তক্ষেপ বা প্রভাব না থাকা। সংবিধান প্রদত্ত এই স্বাধীনতা সরকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আপনারা দেখেছেন, এই রায়ের পর থেকে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত সরকারের কেউই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের ব্যক্তিবর্গের রায় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ, সরকারকে বিচার বিভাগের মুখোমুখি দাঁড়ও করায়নি এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও ক্ষুণœ হয়নি। এই রায়ে যারা উল্লাসিত হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছেন এবং কাল্পনিক সাংঘর্ষিক অবস্থা খুঁজে পাচ্ছেন, তারা মূলত চক্রান্তের রাজনীতির পাঁয়তারা করছেন।
ইনু বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার রায়ের জায়গাটুকু ও সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেনি বা রায়ের প্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপও করেনি। রায়ের বিষয়বহির্ভূত প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি যে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্যই বিতর্কের সূচনা করেছে। সরকার কোনও বিতর্কের সূচনা করেনি। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের ব্যক্তিবর্গ প্রধান বিচারপতির অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্যের উত্তর দিয়েছেন মাত্র। তিনি বলেন, আমাদের দেখতে হবে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ সম্পর্কে তীর্যক মন্তব্য করলে তাতে প্রধান বিচারপতির শপথ ভঙ্গ হয় কিনা? তিনি সংসদকে কোনও নির্দেশ দিতে পারেন কিনা? সরকার কখনোই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণœ করতে চায়নি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপও করতে চায় না। রায়ে প্রধান বিচারপতি যেসব অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়েছেন, সেই সম্পর্কে কথা বলা মানে হস্তক্ষেপ নয়। ইনু বলেন, বিচার বিভাগ সংবিধানের প্রতিনিধিত্ব করছে, জনগণের নয়। তিনি এই রায় দিয়ে তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্বও করতে চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।