পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশের প্রহারে নিহত বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি সাবেক ইউপি মেম্বার মাসুদুল হক পিন্টু (৪৫) ওরফে পিন্টু মেম্বারের জানাজা অনুষ্ঠানে কাল হাজারো মানুষের ঢল নামে। গতকাল বুধবার বাদ আছর তার গ্রামের বাড়ি সাবরুল মন্ডল পাড়ায় “ আস্তান শরীফ ’’ মাদরাসা মাঠে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার , সেচ্ছাসবেক দলের সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু সহ বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মি উপস্থিত ছিলেন। জানাজার আগে আবেগ মথিত বক্তব্যে আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের মনোনিত চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম এলাকাবাসির পক্ষে পিন্টু মেম্বারের মৃত্যুকে হত্যাকান্ড হিসেবে চিহ্ণিত করে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেণ ।
পিন্টুর জানাজাকে ঘিরে ওই এলাকায় দুপুর থেকেই শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেলে পিন্টুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পিন্টুর সদ্য বিধবা স্ত্রী, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া দুই কন্যার কান্না কিছুতেই থামছেনা। তাদের কান্নায় শোকাতুর গ্রামবাসিরাও যেন ভুলে গেছে সমবেদনা জানাবার ভাষা! গ্রামবাসিরা বলছে, পিন্টুর অবর্তমানে থার অনার্স পড়–য়া বড় মেয়ে ও মাদ্রাসায় নবম শ্রেনীতে পড়া ছোট মেয়ের লেখা পড়ার খরচ এখন কে যোগাবে? এদিকে নির্মম এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত পিন্টুর পরিবার অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার রাতেই তারা মামলা দিতে শাজাহানপুর থানায় যাবে। থানা মামলা না নিলে বৃহষ্পতিবার তারা কোর্টে মামলা করবে। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান পিন্টু মেম্বারকে তার গ্রামের বাড়িতে যেয়ে তার নামে মামলা আছে বলে গ্রেফতার করতে চাইলে পিন্টু পুলিশের কাছে ওয়ারেন্ট দেখতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ তার পরিবারের সদস্যদের সামনেই তাকে বেদম মারপিট করে। এরপর তাকে গাড়িতে তুলে থানার দিকে রওয়ানা দেয়, গাড়িত্ওে তার মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করলে সে নিস্তেজ হয়ে ঢরে পড়লে পুলিশ সদস্যরা তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে রেখে আসে। পরে ডাক্তাররা তাকে সিসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দিতে গিয়ে মৃত বলে ঘোষণা দেয়। পুলিশ হেফাজতে এই মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও সন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে পুলিশ পিন্টুকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বিকার করে সে হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছে বলে জানিয়েছে। ঘটনাটি তদন্তেরও উদ্যোগ নেয়া হয়নি ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।