পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেয়র নাছিরের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে ২৩ সংস্থা
চট্টগ্রামের বিমানবন্দর সড়কটি দৃষ্টিনন্দন করে চার লেনে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। মহানগরীর ভিআইপি সড়ক হিসাবে পরিচিত এই সড়কটি নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার। চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদীর পাশ ঘেঁষে এই সড়কে ফুটিয়ে তোলা হবে চট্টগ্রামের হাজার বছরের ইতিহাস ঐহিত্যের নির্দশন। শাহ আমানত (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আসার পথে অন্যরকম এক চট্টগ্রামকে দেখবে দেশি-বিদেশী পর্যটক ও বিনিয়োগকারীরা। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের এই উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরসহ ২৩টি সংস্থা। এসব সংস্থার কর্মকর্তারা মেয়রকে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন।
বিমানবন্দরের পাশে পতেঙ্গা সৈকত লাগোয়া বাাটারফ্লাই পার্ক থেকে নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত (নদী পাশে) সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে চসিক ৬ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার অংশকে চার লেনে উন্নীত করে সড়কের প্রশস্ততা বাড়াবে। বাকি ১ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার অংশকে ছয় লেনে উন্নীত করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সড়কটির গড় প্রস্থ আছে ১৬ থেকে ২৬ ফুট। চার লেনে উন্নীত হলে তা ৬০ ফুটে উন্নীত হবে। সড়কটি প্রশস্ত করার জন্য আনুমানিক ২ লাখ ৩২ হাজার ৭১৮ বর্গফুট বা ৩২০ কাঠা ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে বলে চসিকের প্রকৌশল বিভাগের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক স¤প্রসারণে প্রয়োজন ২ লাখ ১০ হাজার ২১৮ বর্গফুট এবং বিদ্যমান রেললাইন স্থানান্তরে প্রয়োজন হবে আরো ২০ হাজার বর্গফুট জায়গা।
এ প্রসঙ্গে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ বা দেশের বাইরে থেকে আসা কেউ যখন চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করেন, তখন যে চিত্রটা দেখেন সেটি মাইন্ডসেট হয়ে যায়। এক ধরনের ইমপ্রেশান তৈরি হয়। এখন সড়কটি যে অবস্থায় আছে তাতে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করবে চট্টগ্রাম নিয়ে এবং এটাই স্বাভাবিক। নগরবাসী হিসেবে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা সড়কটি প্রশস্ত করে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। সড়কটির কোথাও সরু কোথাও প্রশস্ত। দুটি গাড়ি ঠিকভাবে পাস করা যায় না। রাস্তার ধারে রেললাইন আছে। তেল কোম্পানির স্থাপনা আছে। সব মিলে বাজে পরিস্থিতি। প্রচন্ড যানজট তৈরি হয়। সময়ের দাবি হলো এটি প্রশস্ত করা।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে কাটগড় হয়ে যে সড়কটি আছে তাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। ওই সড়কের শেষপ্রান্তে হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। ওই পথেই হচ্ছে আউটার রিং রোড। সে ক্ষেত্রে নদী পাড়ের এই সড়কটি বিমানযাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হবে বলে আমরা মনে করি। এটি অনেক বেশি দৃষ্টিনন্দন হবে। সড়কটিকে যানজটমুক্ত রাখতে আশপাশের বেসরকারি কন্টেইনারগুলো পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র। মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো চালু হলে বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যপরিধি আরো বেড়ে যাবে। সেই পরিকল্পনায় বিমানবন্দর সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা জরুরি হয়ে উঠেছে।
চসিকের কর্মকর্তারা জানান সড়ক স¤প্রসারণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চসিকের নিজস্ব প্রকৌশলীরা একটি সমীক্ষা করেছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, সড়কটির স¤প্রসারণ অংশে সবচেয়ে বেশি ভূমির মালিকানা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের। সংস্থাটির মালিকানায় আছে ৮৯ হাজার ৭২০ বর্গফুট জায়গা। এছাড়া এখানে রাষ্ট্রায়ত্ত¡ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জায়গা আছে। সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরসহ ২৩টি সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র। সেখানে বিমাবন্দর সড়ক স¤প্রসারণে একমত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা। এই সঙ্গে সড়ক স¤প্রসারণের ক্ষেত্রে তারা তাদের নিজস্ব মতামতও ব্যক্ত করেছেন। এসব মতামতের ভিত্তিতে একটি সার সংক্ষেপ তৈরি করে প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। জানা যায়, প্রকল্পটি অনুমোদন পেতে এক বছর আর বাস্তবায়নে এক বছর সময় ধরা হয়েছে।
সড়কের ওই অংশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও রয়েছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডের একাধিক স্থাপনা, চট্টগ্রাম ডাইডক, রাষ্ট্রায়ত্ত¡ জ্বালানী তেল কোম্পানী পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ডিপো, টিএসপি কমপ্লেক্স, সাইলো জেটিসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।