পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দোকলাম নিয়ে ভারতের তোলা আপত্তিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে খন্ডন করল চীন। একইসঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে চীন বলেছে, চীনা সেনা ভারতে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হবে। মঙ্গলবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, দোকলামে চীন সড়ক নির্মাণ করলে তাদের সীমান্ত নিরাপত্তা বিঘিœত হবে বলে যে অভিযোগ তুলেছে ভারত, তা একেবারে ‘হাস্যকর ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। খবর এবিপি আনন্দ।
বেজিংয়ের দাবি, ভারতও সীমান্তে একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করে চলেছে। এখন নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার অছিলায় চীনা সেনা যদি সেদেশে ঢোকে, তাহলে ‘চরম বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতি তৈরি হবে।
চীন জানিয়েছে, তাদের ভূখন্ডে কোনও ব্যক্তি বা দেশের অনধিকার প্রবেশ তারা মেনে নেবে না। চীনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং জানান, চীনের সড়ক নির্মাণের অজুহাতে ভারতীয় সেনা অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। এর সঙ্গেই তিনি প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে যোগ করেন, আপনাদের (ভারতের) ভাবা উচিত। ভারতের হাস্যকর যুক্তি যদি আমরা সহ্য করি, তাহলে সেক্ষেত্রে প্রতিবেশীর কাজ পছন্দ না হলে, যে কেউ তার বাড়িতে ঢুকে পড়বে।
তিনি যোগ করেন, সেক্ষেত্রে চীনও মনে করতেই পারে, সীমান্তে ভারতের বিপুল পরিকাঠামো-উন্নয়নের কাজে তাদের সীমান্ত-সমস্যা হচ্ছে, তাহলে তারাও ভারতে প্রবেশ করতে পারে। তখন ‘চরম বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতি হবে কি না, প্রশ্ন হুয়ার।
শিগগিরই বিরোধের সমাধান : ভারত
এএফপি জানায়, ভারত বলেছে, দোকলাম নিয়ে চীনের সাথে বিরোধ শীঘ্রই সমাধান হতে পারে। লাদাখ সীমান্তে দু’দেশের সৈন্যদের মধ্যে হাতাহাতির এক নতুন ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এ কথা বলেন।
নয়া দিল্লীতে ভারতের সীমান্ত রক্ষীদের (ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ- আইটিবিপি) একটি ইউনিটের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ভারত তার প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়। তিনি বলেন, দোকলামে ভারত ও চীনের মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। তবে আমি মনে করি শিগগিরই এর সমাধান হবে। চীনও তার পক্ষ থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে। রাজনাথ সিং বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।
কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, দোকলাম নিয়ে বিরোধের ফলে দু’দেশের মধ্যে গত কয়েক দশকের মধ্যে সম্পর্কের সর্বাপেক্ষা অবনতি ঘটেছে। চীনা ও ভারতীয় সৈন্যরা সেখানে প্রায় দু’মাস ধরে মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। গত ১৬ জুন চীনা কর্তৃপক্ষ দোকলামে রাস্তা তৈরি শুরু করলে ভারতীয় সৈন্যরা বাধা দেয়ার ঘটনায় এ সংকটের শুরু হয়। দু’দেশের মধ্যে ২, ১৬৭ মাইল দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
গত সপ্তাহে লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়িসহ লাথি ও ঘুষি মারামারির একটি ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন। সেনাবাহিনী সূত্রে এএফপিকে বলা হয়, ১৫ আগস্ট সংঘটিত ঐ মারামারির ভিডিওটি সঠিক। উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তের প্যাংগং লেকের পাড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানটি তিব্বত মালভূমিতে ৪ হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
এদিকে সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে বলা হলে মহিলা মুখপাত্র হুয়া চিনয়িং বলেন, তাদের সীমান্ত রক্ষীরা চীনের অংশে স্বাভাবিক টহলে নিয়োজিত রয়েছে। তিনি বলেন,চীনা সীমান্ত রক্ষীদের এক টহলের সময় ভারতীয় সৈন্যরা সহিংস তৎপরতায় চীনা সৈন্যদের সাথে হাতাহাতি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং কিছু চীনা সৈন্যকে আহত করে। তিনি বলেন, এটা সীমান্ত বিষয়ে ভারত ও চীনের মধ্যকার সমঝোতাকে লংঘন করেছে। চীন এ ব্যাপারে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ও ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এর আগে ভারত বলেছিল যে চীনা সৈন্যরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ভূখন্ডের মধ্যে ঢুকে ভারতীয় সৈন্যদের উপর হামলা চালায়। হুয়া তাদের এ দাবি নাকচ করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের আচরণকে কঠোরভাবে সংযত রাখার জন্য ভারতের প্রতি আহবান জানান।
চীনের সামরিক মহড়া
টাইমস অব ইন্ডিয়া গতকাল জানিয়েছে, চীনা কট্টর জাতীয়তাবাদী সংবাদপত্র গেøাবাল টাইমস ও লিয়ানহি জাওবাও বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে বলেছে, ভারতের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ পশ্চিম সেক্টরে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।
চায়না টিভিতে ১০টি পিএলএ ইউনিটের সামরিক মহড়ার ৫ মিনিট ব্যাপী এক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। পিএলএর বিমান বাহিনীর ইউনিট ও সাঁজোয়া সৈন্যরাও মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এ মহড়া সীমান্তে উত্তেজনা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।