Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকার শক্তিশালী ইসি ভোটের নিশ্চয়তা প্রয়োজন : মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকার, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও ভোট দেয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, এই তিনটি বিষয় করতে পারলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং নির্বাচন কমিশনের ভুমিকা শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ আহমদের মতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনটি শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এর প্রথমটি হলো- নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার থাকতে হবে। যাদের কোন স্বার্থ থাকবে না। যাদের অধীনে সব দল সমান সুযোগ পাবে। দ্বিতীয়ত, এই সহায়ক সরকারকে সহায়তা দেবার জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন থাকতে হবে। তৃতীয়ত, ভোট দেয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ জন্য সেনাবাহিনীকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে হবে। যেন সবাই ভোট দিতে পারে। এই শর্ত মানলে তবেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে এখন থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দুই মাস আগে থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। কারণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। এই মূহুর্ত থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। আমরাও সভা করতে চাই, ধানের শীষে ভোট চাওয়ার অধিকার চাই।’ একই সঙ্গে আমাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংলাপের নামে আইওয়াশ করছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বারবার বলছি এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। সিইসি’র (প্রধান নির্বাচন কমিশন) রাজনৈতিক দলীয় পরিচয় রয়েছে। আওয়ামী লীগের অধীনে এ কমিশন দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সরকারের সমালোচনা করে মওদুদ আহমদ বলেন, ২০১৪ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। যেখানে ১৫৪টি আসনে কোনো নির্বাচন ছাড়াই এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও ভোট দেননি। আজকের যে সংসদ এটি প্রকৃত অর্থে অকার্যকর সংসদ। যাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। কমিশন যে রোডম্যাপ দিয়েছে তার কোনো ভ্যালু নেই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, যেখানে রোড নেই সেখানে ম্যাপ দিয়ে কী হবে? নির্বাচনের সময় দায়িত্বে থাকবেন সরকারি কর্মকর্তারা। তাহলে কিভাবে কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে? রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আনার জন্য আমাদের কোনো ভূমিকা নেই’- নির্বাচন কমিশনের দেয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে সকল দলকে একত্রিত করা কমিশনের দায়িত্ব। তিনি এটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকারের সমালোচনা করে মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়, তারা কোনো বিরোধী দল চান না। সত্যিকার অর্থে দেশে কোনো গণতন্ত্র ফিরে আসুক তারা তা চান না। কাজেই যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলা হচ্ছে তা কখনও তারা মানবেন না। তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করলে আজ দেশে এত অন্যায়, অপরাধ থাকত না। নৈরাজ্যকর অবস্থা তৈরি হতো না’। আওয়ামী লীগের সা¤প্রদায়িকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে সা¤প্রদায়িকতার কথা বলে। নয় মাসে যত মন্দির ভাঙচুর হয়েছে এর আগে কখনও এমনটি ঘটেনি।
বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল (বিডিসি) এর সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকুমার বড়ুয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।####



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মওদুদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ