পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দোকলাম মালভূমি নিয়ে ভারত ও চীন ভুটান সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যেই চীন বারবার কাশ্মীর বিষয়টি তুলেছে ও এ অঞ্চলে প্রবেশের হুমকি দিয়েছে। গত ১৫ আগস্ট লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর দু’দেশের সৈন্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয়নি। এ থেকে মনে হচ্ছে বেইজিংয়ের হুমকি অবাস্তব নয়।
জানা গেছে, এদিন পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো লেকের উত্তর পাড়ে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি ও পাথর ছোঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, প্যাংগং লেকের পাড়ের দু’তৃতীয়াশ এলাকা চীন ও এক তৃতীয়াংশ ভারতের দখলে রয়েছে।
একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানায়, ভোর বেলায় ফিঙ্গার -৪ ও ফিঙ্গার-৫ দিয়ে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সৈন্যরা দু’বার ভারতীয় ভূখন্ডে ঢোকার চেষ্টা করায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু’পক্ষে কিছু পাথর ছোঁড়াছুড়ি ঘটে। তাতে দু’দিকেই কিছু সৈন্য আহত হয়। উত্তেজনা প্রশমনে ব্যানার ড্রিলের পর প্রতিদ্ব›দ্বী সৈন্যরা ফিরে যায়।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্যাংগং হ্রদের দুই-তৃতীয়াংশ চিনের দখলে রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় প্রায়ই চীনা সৈন্যদের আসতে দেখা যায়। তখন ভারতীয় জওয়ানেরা সাধারণত ব্যানার নিয়ে কুচকাওয়াজ করে বোঝান, চিনারা ভারতীয় এলাকায় এসে পড়েছে। সামরিক পরিভাষায় এই কুচকাওয়াজের নাম ‘ব্যানার ড্রিল’। কিন্তু ডোকলাম ঘটনার প্রেক্ষিতে এবারে চীনারা বেশি আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে বলে তাদের ধারণা।
দি ইন্ডিয়ান টাইমসের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে অস্বীকার করে।
এদিকে চীন বুধবার লাদাখে সংঘর্ষ সম্পর্কে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। চীন বলেছে, তারা পিএলএ সৈন্যদের ভারতে অনুপ্রবেশের কথা জানে না। চীন বলে, তাদের দেশ সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকার বদ্ধ। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহিলা মুখপাত্র হু চুনয়িং বলেন, আমি এ খবর সম্পর্কে কিছু জানি না।
হু আরো বলেন, পিএলএ অব্যাহত ভাবে এ অঞ্চলে টহল দেয়। তিনি ভারতকে এলএসির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহবান জানান। তিনি বলেন, আমরা এলএসি ও দু’পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট চুক্তি মেনে চলার জন্য ভারতের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
মধ্য জুনে দোকলাম সংকট শুরুর পর চীন একাধিকবার বলেছে যে তারা পাকিস্তানের পক্ষে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে পারে যেমনটি ভারত দোকলামে করেছে ভুটানের পক্ষে।
একজন চীনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এর আগে গেøাবাল টাইমসকে বলেছিলেন, সিকিম-ভুটান-তিব্বত তিন সীমান্তের সংযোগস্থলে চীনের রাস্তা নির্মাণ বন্ধে ভারতীয় বাহিনী যে যুক্তি ব্যবহার করেছে সেই একই যুক্তিতে চীন এ রকম পদক্ষেপ নিতে পারে।
এক নিবন্ধে পত্রিকা বলে, ভারত যে যুক্তি দিচ্ছে সে যুক্তিমত তৃতীয় একটি দেশের সেনাবাহিনী ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করতে পারে।
এদিকে দোকলাম বিরোধের সমাধান হয়নি এবং দু’মাস ধরে সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে চলেছে। ভারত যেখানে কূটনৈতিক আলোচনার উপর জোর দিচ্ছে সেখানে চীন বলছে ভারত সৈন্য প্রত্যাহার করার পরই শুধুু আলোচনা হতে পারে। এ বিরোধের কারণে চীন ও ভারতের সামরিক প্রতিনিধিদের মধ্যে ১৫ আগস্ট সীমান্ত রক্ষী বৈঠক (বিপিএম) অনুষ্ঠিত হয়নি। বিপিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েকদিন আগে উভয়পক্ষ তাদের সম্মতির কথা জানিয়ে দেয়। কিন্তু এবার চীনা পক্ষ আমন্ত্রণের জবাবে সাড়া দেয়নি।
ইকনোমিক টাইমস এক ভারতীয় সেনা অফিসারকে উদ্ধৃত করে জানায়, কয়েকদিন আগে ৫টি সীমান্ত পয়েন্টে বিপিএমের জন্য পিএল-র কাছে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। সে কারণে বিপিএম বৈঠক বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়। তাই কোনো বিপিএম বৈঠক হয়নি।
সাধারণত ভারতের স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস এবং ১ আগস্ট পিএলএ দিবসে সিকিমের নাথু লা, লাদাখের দৌলত বেগ অল্ডি ও চুশুল এবং অরুণাচল প্রদেশের বুমলা ও কিবিথুতে বিপিএম অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।