Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকার চারিদিকে পানি বাড়ছে

৩/৪ দিনের মধ্যে চার নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। তবে তা এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, টঙ্গী খাল, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গার পানি সর্বোচ্চ ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়েছে। সব নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে তা বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা জানান, যমুনার নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সে পানি কয়েকদিন পর মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। এ কারণে আগামী ৩-৪ দিন পর থেকে মধ্যাঞ্চলের পানি বাড়তে পারে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বাহাদুরাবাদে যমুনার পানি রেকর্ড ছাড়িয়েছে। সে পানি কমতে শুরু করেছে। যমুনার পানি যেহেতু মধ্যাঞ্চলে আসে, সে কারণে একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। এই বর্ষায় দ্বিতীয় দফার বন্যায় সারাদেশে ২০টি জেলা এখন কবলিত। এর মধ্যে অধিকাংশ জেলাই উত্তরাঞ্চলের। সরকারি হিসাবে মোট ৬ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উত্তরের পানি মেঘনা হয়ে বঙ্গোপসাগরে যাবে বলে মধ্যাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বুড়িগঙ্গার পানি ঢাকা পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ডেমরায় বালু নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার, শীতলক্ষ্যার পানি নারায়ণগঞ্জে ১১ সেন্টিমিটার, মিরপুরে তুরাগ নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, টঙ্গী পয়েন্টে টঙ্গী খালের পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এছাড়া কালীগঙ্গা নদীর পানি তরাঘাট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী জাগির পয়েন্টে ১৯ এবং রিকাবী বাজার পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার এবং বংশী নদীর পানি নয়ারহাট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বুড়িগঙ্গার পানি ঢাকায় এখনও বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার নিচে বইছে। বালু বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার, শীতলক্ষ্যা ৫০ সেন্টিমিটার, তুরাগ ৮৮ সেন্টিমিটার, টঙ্গী খাল ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। এছাড়া কালীগঙ্গার পানি তরাঘাটে ৯৩ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি জাগির পয়েন্টে ১৫১ ও রিকাবীবাজারে ৮৮ সেন্টিমিটার এবং বংশী নদীর পানি নয়ারহাটে বিপদসীমার ১৯১ সেন্টিমিটার নিচে বইছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার চারিদিকের নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে ডিএনডি বাঁধের অভ্যন্তরে তথা ঢাকার ভিতরেও স্থায়ী পানিবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে ঢাকার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যেতে পার। তাতে ড্রেন উপচে ডুবে যেতে পারে ঢাকা শহরও।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ