Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারো বিপদসীমার ওপরে তিস্তার পানি প্রবাহ

খুলে দেয়া হয়েছে ৪৪ গেট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২২, ১২:১৬ এএম

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে আবারো বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। কয়েক সপ্তাহ পানি কম থাকলেও গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল ডালিয়া পয়েন্টের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২.৬০) দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বেলা ৩টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানির ব্যবস্থাপনায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

ব্যারেজ ও নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, গত দুই দিন থেকে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। গতকাল সকালে আরো বাড়তে থাকে নদীর পানি প্রবাহ। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। ফলে নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে হঠাৎ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নদীর চর ও তীরবর্তী আমনসহ অন্য ফসলের জমি পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে নদী ভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পূর্ব খড়িবাড়ী, কিছামত, ছোটখাতা, হরিশের চরসহ ৮টি চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে সদ্য রোপণ করা আমন ধানের ক্ষেত।

পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ওয়াবদা বাঁধগুলো রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। গত অর্থবছরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নামমাত্র সংস্কার করলেও বর্ষার বৃষ্টিতে অধিকাংশ স্থানে ধসে গেছে। ফলে নদীতে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাঁধগুলোর স্থায়িত্ব নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, আপাতত পানি কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। বর্তমান পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিস্তার পানি প্রবাহ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ