পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যে গোষ্ঠটি দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। এখনও ওই গোষ্ঠীটিই বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার জন্য বার বার চক্রান্ত করেছে। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড: দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ৪ হাজার ৬৬২ দিন জেল খেটেছেন। বাঙ্গালি জাতিকে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। লক্ষ্য ছিল একটাই- বাঙালি জাতির মুক্তি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বাঙ্গালি জাতির প্রত্যেককে তিনি পরিবারের সদস্য মনে করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা শুনলে তিনি তা বিশ্বাস করতেন না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল হাসান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম প্রমূখ।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমদ বলেন, দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশ ছোঁয়া। বিপুল জনপ্রিতার কারণেই তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার হন। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙ্গালি জাতির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও, কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারবে না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলার মাটি থাকবে, বাংলাদেশের মানুষ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বেঁচে থাকবে। বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তিনি মাত্র তিন বছর সাত মাস দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি দু‘টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে সংগ্রাম করেছেন। একটি হলো বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, অপরটি অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছেন। আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙ্গালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।