Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার নিজেদের পতনকেই ত্বরান্বিত করছে -মওদুদ

| প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকার বিচার বিভাগকে যেভাবে বিতর্কিত করছে তাতে তারা নিজেদের পতনকেই ত্বরান্বিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। গতকাল (রোববার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের পর সরকারি দল আওয়ামী লীগের বক্তব্য ও প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার যে আচরণ করছে তাতে ভয়াবহ পরিণতি হবে। আমি সরকারের প্রতি আহŸান জানাবো, দেশের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আপনাদের দায়িত্ব। কিন্তু আপনারা যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তাতে মনে হয় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সরকার যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাতে লাভ হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতে আপনারা জয়ী হতে পারবেন না। জনগণ জয়ী হবে এবং এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। এতে আপনাদের পতন তরান্বিত হবে। মওদুদ বলেন, সরকারের মন্তব্য শুনে মনে হয় তারা বিচারের বিভাগের স্বাধীনতার বিপক্ষে। বিচারবিভাগ ও এর স্বাধীনতাকে অবমূল্যায়ন করতে চায়। একেক মন্ত্রী একেক কথা বলছেন। আর সেসব বক্তব্য শুনে মানুষ অবাক হচ্ছে। এই ধরণের বক্তব্য দিয়ে বিচারবিভাগকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
খায়রুল হকের পদত্যাগ দাবি: ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মামলার রায়ের সমালোচনাকারী আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকেরও সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, খায়রুল হকের বক্তব্য আদালত অবমাননাকর এবং সরকারি চাকরিবিধির বিরোধী।এর জন্য খায়রুল হকের পদত্যাগ চেয়েছেন মওদুদ। বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা সে দিতে পারেন না। তার এমন বক্তব্য দেয়া উচিত হয়নি। এটা সরকারি চাকরির আচরণবিধির পরিপন্থী। সাবেক প্রধান বিচারপতি হয়ে সেই বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন। বিচারপতি থাকাকালেও করেছেন। তার সরকারি পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। খায়রুল হককে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতা বলেন, তার (খায়রুল হক) লজ্জা হওয়া উচিত। তার নৈতিকতা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে চাই। আপনি ত্রয়োদশ সংশোধনীর সময় বলেছিলেন, জাতীয় স্বার্থে দুইদফা নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা। কিন্তু আপনি অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পর যে রায় দিয়েছিলেন যেখানে আপনি দুই দফা নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বাদ দিয়েছিলেন। সেখানে কি বিবেকে বাধে নাই? এটা কোন ধরনের নৈতিকতা?।
মওকুদ বলেন, আপনি (খায়রুল হক) সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এটা তো আপনি বাদ দিতে পারতেন। সংবিধানের পঞ্চোদশ সংশোধনীর সময় এই কথা বাদ দিতে পারতেন। তা তো করেননি। আয়োজক সংগঠনের প্রধান বিথীকা হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় ‘গুম’, ‘খুনের’ শিকার চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, মাগুরা, সাতক্ষীরা ও ল²ীপুরের পাঁচটি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মওদুদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ