২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
চিকুনগুনিয়া (ঈযরশঁহমঁহুধ) হচ্ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত একটি রোগ। আমাদের অতি পরিচিত ডেঙ্গুগুর সঙ্গে এর কিছুটা মিল রয়েছে। ডেঙ্গুগুর মতোই এ ভাইরাসটিও এডিস ইজিপ্টাই এবং এডিস অ্যালবপিক্টাস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। চিকুনগুনিয়া ডেঙ্গুগুর মতই মানবদেহ থেকে মশা এবং মশা থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে থাকে।
কথায় আছে রোগ বালাই বলে কয়ে আসে না। যেকোনো অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করার আগে নানা ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সে সব উপসর্গকে গুরুত্ব সহকারে দেখি না। ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো যায় না।
অনেকের ভাইরাস জ্বর বা ডেঙ্গুগুর জ্বর হয়ে সেরে যাওয়ার পরও দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে শরীর ভাল যাচ্ছে না। সাধারণত যে কোনো ভাইরাস কিংবা ডেঙ্গুগুর রোগে আক্রান্ত রোগী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। অথচ দেখা যাচ্ছে জ্বর সেরে গেলেও রোগী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও দুর্বলবোধ করছেন, বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন গিটে গিটে ব্যথা, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি খুব ভোগাচ্ছে।
এ সকল ক্ষেত্রে ডেঙ্গুগু হিসেবে সন্দেহ করা হলেও এ রোগটি ডেঙ্গুগু নয়, বরং এটি চিকুনগুনিয়া নামক একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ।
চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ
সাধারণ জ্বর বা ডেঙ্গুগু জ্বরের সাথে সাদৃশ্য থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকুনগুনিয়া একটু ভিন্ন রকম হয়। সাধারনত মশা কামড়ানোর ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই জ্বরের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও, কোনো উপসর্গই প্রকাশ পায় না। এ রোগটি সাধারণত আকস্মিক জ্বর, অস্থিসন্ধির ব্যথার মাধ্যমে শুরু হয়। নিম্নে চিকুনগুনিয়া জ্বরের লক্ষণ বা উপসর্গগুলি বর্ণনা করা হলঃ
চিকুনগুনিয়া জ্বরে অসহ্য ব্যথা হতে পারে। এই জ্বরে দীর্ঘসময় ধরে মাথা ব্যথার প্রভাব থাকতে পারে যা শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়ার পাশাপাশি ঘুমের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ব্যঘাত ঘটায়। এই জ্বর হলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারনে বার বার বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। জ্বর এবং ব্যথায় কাতর হয়ে অনেকের মধ্যে অবসাদের প্রভাব দেখা যেতে পারে। ফলে কোন কাজেই মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখের মধ্যে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। আবার অনেক সময় চোখের ব্যথা এতটাই বেড়ে যায় যে আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হয় এবং চোখ জ্বালা করে।
সাধারনত বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনেক বেশি হয় এবং উপসর্গগুলো বেশিদিন থাকে। ডেঙ্গুগুতে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে জ্বর ভালো হয়ে গেলেও কয়েকদিন দুর্বলতা বা ক্লান্তি লাগতে পারে। কিন্তু সাধারণত এত দীর্ঘ সময় ধরে শরীর ব্যথা বা অন্য লক্ষণগুলো থাকে না।
আবার ডেঙ্গুগুতে আক্রান্ত রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হয়, যা অনেক সময় খুব ভয়াবহ হতে পারে। কিন্তু চিকুনগুনিয়া রোগে ডেঙ্গু জ্বরের মতো রক্তক্ষরণ হয় না এবং রক্তের প্লাটেলেট খুব বেশি হ্রাস পায় না।
চিকিৎসা: এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নাই। চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা মূলত রোগের উপসর্গগুলোকে নিরাময়ের মাধ্যমে করা হয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সাদৃশ্য বিধান মতে হয়ে থাকে। রোগীর শারীরিক ও মানষিক লক্ষণ সাদৃশ্যের সমষ্টির ভিত্তিকে হোমিও চিকিৎসা হয়ে থাকে। তাই এ রোগের হোমিওপ্যাথিতে সুন্দর চিকিৎসা আছে।
পরামর্শ: এ রোগে আক্রান্ত রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি বা অন্যান্য তরল খাবার খেতে দিতে হবে। ডাবের পনি, মিছরির পানির শরবত খেতে দিতে হবে। অল্প অল্প করে বার বার খেতে হবে। বেশি বেশি পানি দিয়ে শরীর মুছে দেয়া যেতে পারে। কোন অবস্থাতে ব্যথার ওষুধ সেবন করবেন না। নিজে নিজে কোন ওষুধ না খাওয়াই ভাল। রোগীকে এবং সুস্থ কাউকেই যেন মশা না কামড়ায় এজন্য অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। কারণ আক্রান্ত রোগীকে কামড় দিয়ে, পরবর্তীতে কোনো সুস্থ লোককে সেই মশা কামড় দিলে ওই ব্যক্তিও এ রোগে আক্রান্ত হবেন।
ডা. এস এম আব্দুল আজিজ
সেক্রেটারি, আইডিয়াল ডক্টর্স ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি
আল-আজিজ হেলথ সেন্টার, বায়তুল আবেদ (দ্বিতীয় তলা) ৫৩, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১০২৯৮২৮৭, ০১৯১১০২০৬৬৪
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।