নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই নতুনভাবে আবির্ভূত বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে ফরম্যাটে হয়ে উঠে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি। বর্তমানে যেকোন দলই বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামে। ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগারদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ফলাফল স্বরূপ অর্জন করে ক্যরিয়ারের সেরা ওয়ানডে র্যাংকিং। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ছয়ে উঠে আসে বাংলাদেশ দল। তবে সেই স্থান বেশিদিন দখলে থাকে নি। ওয়ানডের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও করছে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। অভিজ্ঞ ও তরুণ ক্রিকেটারদের মিশ্রণে দারুন কম্বিনিশন গড়েছে বাংলাদেশ।
মুশফিকের মতে ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারলে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে সেরা তিনে উঠা অসম্ভব কিছু না বাংলাদেশের জন্য। টেস্ট অধিনায়কের মতে দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের পাশাপাশি জ্বলে উঠতে হবে তরুণ ক্রিকেটারদেরও। ওয়ানডের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে ছয়ে দেখতে চান মুশফিক, ‘আমাদের যে সামর্থ্য রয়েছে, তাতে ওয়ানডে ক্রিকেটে সেরা তিনে যাওয়া অসম্ভব কিছু না এবং টেস্ট ক্রিকেটেও সেরা যাওয়া অসম্ভব কিছু না আমাদের জন্য। দলের তরুণ ক্রিকেটারদেরও অনেক ভূমিকা পালন করতে হবে। দলকে যদি আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি তাহলে ফলাফল অবশ্যই ভালো হবে।’
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে আসবে কিনা সেটি নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি। অস্ট্রেলিয়া আসুক কিংবা না আসুক নিজেদেরকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। শেষবার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দুই দলের মুখোমুখি হয়েছিলো ২০০৬ সালে। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবারো অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। তবে আগের বাংলাদেশ ও বর্তমান বাংলাদেশ দলের মধ্যে অনেক ব্যবধান। মুশফিকের আশা ক্রিকেটারদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাসটা রয়েছে সেটি মাঠে ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারলে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। শেষবার ওরা যখন আমাদের এখানে এসেছিল তখন পুরোপুরি অন্যরকম দল ছিল। অন্তত তারা যদি আসে তাহলে আমাদের টেস্টে উন্নতির গ্রাফটা তারা দেখতে পারবে। নিজেদের মধ্যে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস রয়েছে। যদি ওরা আসে তাহলে নিজেদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাসটা রয়েছে সেটি কাজে লাগাতে অবশ্যই ভালো করা সম্ভব।’
সামনেই আছে নতুন এক চ্যালেঞ্জ। আর সেটি পরীক্ষা উতরাতে হলে বাংলাদেশকে হারাতে হবে বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি ও সবচেয়ে বেশিবারের বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। শক্তিমত্তার দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়েও অস্ট্রেলিয়া আছে এগিয়ে। তবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের বিশ্বাস, টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু নয়, ‘আমরা ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারব কিনা সেটা নিয়ে ছিল সংশয়। কারণ, এর আগে ৫দিন যে ভালমতো লড়াই করা সেটাও কিন্তু পারিনি। কিন্তু গত দুই বছরে আমাদের দলে যোগ্য কিছু খেলোয়াড় এসেছে যারা এখন স্বপ্ন দেখায় যে কোন দলের বিরুদ্ধে টেস্ট জেতার। তো আমি মনে করি এই কন্ডিশনে যদি আমরা ইংল্যান্ডের মতোই নিজেদের মেলে ধরতে পারি এবং ঘরের সুবিধাটা নিতে পারি তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু নয়। সেটার জন্যই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর মূল ব্যাপার হচ্ছে আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি যে কোন দলকেই হারাতে পারি। বাংলাদেশ দলের সেই সামর্থ্যটা আছে।’
অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে আসা নিয়ে এতদিন সংশয় থাকলেও আপাতত দূর হয়েছে সেটি। মুশফিকও প্রত্যাশা করছেন, স্মিথ-ওয়ার্নাররা বাংলাদেশ সফরে আসবেন। সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া দল যদি আসে, আশা করছি অবশ্যই আসবে। সেক্ষেত্রে আমাদের এই প্রস্তুতিটা খুব কাজে লাগবে। এখনও প্রায় এক মাসের মতো আছে। আমার মনে হয় এটা খুব ভাল সুযোগ নিজেদের ভালভাবে প্রস্তুত করার। সবমিলিয়ে ২৮ জন আছি, সবাই বেশ ফিট এবং সবাই বেশ ভালো অবস্থায় আছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।