পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে ফেসবুকের দুই বন্ধুর হাতে ধর্ষণের শিকার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সকালে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। পরে দুপুরে তাকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। আদালত তাকে নিজের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহমখদুম থানার পরিদর্শক আনোয়ার আলী তুহিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে কিনা তা জানাননি চিকিৎসকরা। কয়েকদিনের মধ্যে তারা পুলিশকে লিখিত প্রতিবেদন দেবেন। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবকের আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। কয়েকদিনের মধ্যে আদালতে ওই তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করারও কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার প্রায় ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী রাজশাহী শহরের নওদাপাড়া এলাকার গ্রিন গার্ডেন নামের একটি রেস্টহাউসে ধর্ষণের শিকার হন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ পাস করা ওই তরুণীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নামোশংকরবাটি এলাকায়। তাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দু’জন হলেন- ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (ইউআইটিএস) এর রাজশাহী শাখার সাবেক শিক্ষক সামশুল আলম বাদশা (৩৫) ও রাজশাহীর গোরহাঙ্গা এলাকার ইজিটাস কম্পিউটার দোকানের মালিক আবু ফায়েজ নাহিদ (৩০)। এদের মধ্যে বাদশার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল গ্রামে। আর নাহিদের বাড়ি একই উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাবেক শিক্ষক বাদশার সঙ্গে ওই তরুণীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে ফোনেও কথা হয়। পরবর্তীতে বাদশার বন্ধু নাহিদের সঙ্গেও ওই তরুণীর ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। চিকিৎসার জন্য ওই ছাত্রী গত সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসেন। চিকিৎসা শেষে তিনি বাদশার সঙ্গে দেখা করতে তাকে ফোন করেন। এরপর বাদশা গেস্ট হাউসে নিয়ে একটি কক্ষে রেখে প্রথমে বাদশা ও পরে নাহিদ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।