বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মিজানুর রহমান তোতা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান এজেন্ডা। সবাই নির্বাচনী মাঠ গুছাতে ব্যতিব্যস্ত। রাজনীতি সচেতন মানুষও নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত,জাসদ, জেএসডি ও ওয়ার্কার্স পার্টিসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বিভিন্নপন্থায় নেতা কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগসহ যেসব কর্মকান্ড করছেন তা মূলত নির্বাচনকে ঘিরেই। কেউ প্রকাশ্যে আর কেউবা গোপনে নির্বাচনী প্রস্ততি নিচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সবচেয়ে নির্বাচনী মাঠ গুছাতে সরব। তাদের দলের নেতা ও কর্মীরাও বর্তমানে আগের চেয়ে অতিমাত্রায় চাঙ্গা। নির্বাচন উপলক্ষে নেতাদের পেছনে কর্মী সংখ্যাও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সম্ভাব্য নতুর মুখের প্রার্থীদের পেছনে কর্মীদের পাল্লা ভারি দেখা যাচ্ছে। যখন সম্ভাব্য নতুন প্রার্থী কোন অনুষ্ঠানে কিংবা ঘুরতে যাচ্ছেন তাদের পেছনে লম্বা লাইন পড়ছে কর্মীদের। এলাকার মুরব্বীদের সঙ্গে সাক্ষাত হলে তারা বলছেন, পুরাণোদের তো দেখলেন, নতুনদের সুযোগ দিয়ে দেখেন। এই চিত্র গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের।
যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার ৩৬টি সংসদীয় আসনেই কমবেশী নির্বাচনী আলাপ আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। একে অপরের সঙ্গে কথা বলার মধ্যে প্রাধান্য পাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচন। কোন আসনে এবার কে কে প্রার্থী হচ্ছেন, কার গ্রহণযোগ্যতা কি-এসব নিয়েও চলছে আলোচনা। নির্বাচনী আড্ডা জেলা ও উপজেলা সদরের বাইরেও ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে এমনকি গুরুত্বপুর্ণস্থানে মোড়ে মোড়ে চায়ের টেবিলে বেশ জোরেশোরেই চলছে। হচ্ছে নানা বিশ্লেষণ। জনসাধারণের কথা, ‘ভাই ভোট আসলি আমাদের কদর বাড়ে। আর ভোট শেষ হলেই কেউ সাধারণত খোঁজ রাখেন না’। ভোট রাজনীতিতে কি এসবের পরিবর্তন হবে না-এমন প্রশ্ন ও নানা কথাবার্তা চলছে নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথা, ভোট রাজনীতিতে ঘটেনি কোন মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তন। অনেকটাই গতানুগতিক।
দক্ষিণ-পশ্চিমের ভোট রাজনীতির মাঠে একটি বিষয় জোর আলোচনা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের অনেকে এবার বাদ পড়তে পারেন। তারা কারা, কি অবস্থা তাদের তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। যারা বাদ পড়ছেন,তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে জনবিচ্ছিন্ন ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ। এ অঞ্চলের ৩৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে খুলনায় ২, যশোরে ৩, ঝিনাইদহ ২, সাতক্ষীরায় ১ ও কুষ্টিয়ায় ১ এই মোট ৯টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের কথা বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। এসবস্থানে নতুন মুখ আসছে। নতুন মুখের সম্ভাব্য প্রার্থীদের যোগাযোগ দেখে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে তারা কেন্দ্রের গ্রীণ সিগনাল পেয়েছেন। গোয়েন্দা সুত্রও বলছে, এ অঞ্চলের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপি একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক সুত্র জানায়, আমরা তৃণমুলে নির্বাচনের মাঠ গুছাচ্ছি। কারণ আসলেই তো সময় খুব কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।