পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা থেকে উঠে আসা পরামর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। গতকাল সোমবার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ইসি বলেন, ধারবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে পর্যাায়ক্রমে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা হবে। সবার বক্তব্য শুনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন করব। সেখান থেকে যেসব উপাদান.. সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করা প্রয়োজন সেগুলো আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় চিন্তা করব।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সিইসি বলেন, তাদেরকে আমরা আশ্বন্ত করেছি- আইনের আলোকে নির্বাচন পরিচালনার যে ক্ষমতা ইসির সাংবিধানিকভাবে রয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে করা হবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সবচেয়ে বেশি পরামর্শ দিয়েছেন কমিশনকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন জনগণের আস্থা অর্জনের। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে সংলাপ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত কমিশনের সব কায্যক্রম নিরপেক্ষভাবে করা হয়েছে। বলা যায়- আস্থা অর্জনের কাজগুলো কমিশনে করে যাচ্ছে। ইসি একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। সেখানে সরকারের কারা থাকবে বা কারা থাকবে না সেটার চেয়েও বড় কথা হল- কঠোরভাবে, কঠিনভাবে এ নির্বাচন পরিচালনা আমাদের করতে হবে। জাতি আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে সুষ্ঠু, ভালো নির্বাচন। আমরা যেন তা করতে পারি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
সংলাপের মাধ্যমে সরকার ও রাজনৈতিক দলের ওপর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সিইসি। তবে সংলাপের সুপারিশ নিয়ে সরকার চাপে থাকবে কিনা তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি তিনি। রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে অনেকে বলেছেন এসব ইসির এখতিয়ারভূক্ত না। সরকার গঠন করা বা কেয়ারটেকার গঠনে কোনটা ইসির এখতিয়ারে রয়েছে, কোনটা নেই- উনারা বিজ্ঞ ব্যক্তি, তারা জানেনও। তবে সবার কথা প্রতিবেদন আকারে সরকারের কাছে পাঠাব, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠাব। সংলাপের মাধ্যমে বিএনপিকে আস্থায় আনা কিংবা সরকারকে চাপে রাখা হবে কীনা- এমন প্রশ্নে নূরুল হুদা বলেন, আমার তো মনে হয়, সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছবে সুশীল সমাজ কী ভাবেন, যারা বিরোধী দলে বা সংসদের বাইরে রয়েছে তাদের কাছেও তা পৌঁছে যাবে। আমার মনে হয়, এতে তারা একটা সমঝোতায় আসতে পারবেন। আমরা ধারণা- এর মাধ্যমে একটা প্রভাব পড়বে, তবে বাধ্য করতে (সুশীল সমাজের চাওয়া বাস্তবায়ন) পারব কিনা জানি না। সিইসি জানান, সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপে ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে যেমন অনেকে দাবি তুলেছে, তেমনি সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিলে পুলিশ, বিজিবি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অন্যদের ক্ষমতা খর্ব হবে বলেও মত দিয়েছেন। অনেকে না ভোট চালুসহ নানা ধরনের সুপারিশ তুলে ধরেছেন।
দুই জনকে বের করে দেওয়া হয়
সংলাপে আমন্ত্রিত না হয়েও নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় দুই জনকে বের করে দেওয়া হয়। মতবিনিময় সভার শুরুতে কবি ও নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচয় দিয়ে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন লুবনা হাশেম। আলী হাসান আসকারী নামে একজনও উপস্থিত ছিলেন সভাস্থলে। তারা উপস্থিতির তালিকায় স্বাক্ষরও করেন। বিষয়টি ধরতে পেরে সাড়ে ১১টার দিকে তাদরকে বের করে দেওয়া হয়। তারা গণমাধ্যমে সংলাপ আয়োজনের বিষয়টি দেখেই ইসিতে চলে এসেছেন বলে জানান।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান প্রতিনিধিদের এসব সুপারিশের বিষয়টি ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।