পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের উত্তরাখন্ডের বারাহোটি দিয়ে ৮শ’ মিটার থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনা বাহিনী। সূত্র জানায়, গত ২৫ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ভারতীয় ভূখন্ডে ঢুকে পড়ে। ডোকলাম নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে সৃষ্ট অচলাবস্থার মধ্যে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল।
কৌশলগত বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ব্রহ্ম চ্যালানি সিএনএন নিউজ-১৮ কে গতকাল জানান, বারাহোটি ভারতের জন্য একটি নাজুক স্থান। সেখানে কোন সরঞ্জাম ছাড়াই নিরস্ত্র ভারতের সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। উত্তরাখন্ডকে প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। চীন চাইলে উত্তরাখন্ডের অনেক এলাকা দখল করে নিতে এবং দিল্লী পর্যন্ত মার্চ করতে পারে। এই অভিযানে চীনের জন্য ভারতের রাজধানী পর্যন্ত অনেকটা পথ উন্মুক্ত হয়ে গেছে।
চ্যালেনি বলেন, কেউ ভুল করে ১০ বা ২০ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়তেই পারে, কিন্তু ১ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করা চিন্তার উদ্রেক করে। এটা ভারতীয় পক্ষের প্রতি সতর্কবার্তা। চীন সবসময় ভারতীয় বাহিনীর ওপর চাপ অব্যাহত রাখবেই। অতীতেও তারা এটা করে এসেছে। তারা দেশের ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং সীমানা চিহ্নসহ ভারতের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
ডোকলামের ঘটনার সাথে এর কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন চ্যালেনি। তবে তিনি মনে করেন, কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না যে, ডাকলামের চাপ কমাতেই এ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।
খবরে বলা হয়, এ মাসের ২০ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত চার বার চীনা সেনা ভারতীয় ভূখন্ডে ঢুকে পড়ে। চামোলি জেলার বারাহোটিতে প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত চীনা সেনা অনুপ্রবেশ করে। ইন্দো টিবাটিয়ান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপিকে নিয়ে স¤প্রতি ওই এলাকায় সমীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন চামোলির জেলাপ্রশাসক। তখনই তারা চীনা সেনার দৌরাত্ম্য আঁচ পান।
সূত্রের খবর, প্রায় দু’ঘণ্টা ভারতের মাটিতে ছিল চীনা সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর আগে গত ১৯ জুলাই উত্তরাখন্ডের আকাশে ঢুকে পড়েছিল চীনা সেনাবাহিনীর একটি চপার। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল।
চীনের সঙ্গে ৩৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে উত্তরাখন্ডের। এর মধ্যে বারাহোটি বরাবরই চীনের টার্গেট। কারণ এখানকার ভৌগলিক অবস্থান। প্রায় ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে থাকা এই এলাকায় নজরদারি চালানো ভারতের পক্ষে বেশ কঠিন। এক বছর আগে জুলাই মাসেই উত্তরাখন্ডের চামোলি জেলায় ঢুকেছিল চীনা সেনা। সে সময় প্রায় ২০০ মিটার ভিতরে চলে এসেছিল দুই সেনাবাহিনী।
২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত শুধু উত্তরাখন্ডে অন্তত ৩৭ বার চীনা সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশ করেছিল। চীন বারাহোটিকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে। ১৯৫৪ সাল থেকে এই এলাকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সূত্র : দি ইকোনোমিক্স টাইমস, নয়া দুনিয়া, নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।