২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়নগঞ্জের রূগগঞ্জে তারাব পৌরসভার সুলতানা কামাল সেতু থেকে সোনালী পেপার মিল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তাটির অনেক জায়গায় ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে গাড়ি চলাচলের অসুবিধার সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে স্থানীয় শবনম ওয়েল মিল ও বালু ব্যবসায়ীদের শত শত ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সময় মালবাহী ট্রাক, রিক্সা ও অটোরিক্সা গর্তে পরে উল্টে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। এতে করে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় পরতে হয় এ এলাকার জন সাধারনের। তারাব মধ্যেপাড়া, তারাব দক্ষিণ পাড়া, সুলতানবাগ, হাটিপাড়া, টাটকী, হিন্দুপাড়ার প্রায় ২০ হাজার লোকের চলা চলের একমাত্র এই রাস্তাটি। ফলে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শত শত লোক চলা চল করে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসা, কিন্ডার গার্র্টেন স্কুল ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ভাঙ্গা রাস্তা ও কাঁদাপানি দিয়ে এসব শিক্ষার্থীর যাতায়াতের ভীষণ কষ্ট হয়। অনেক সময় গাড়ী কাঁদাপানি ছিটিয়ে শিক্ষার্থীদের জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেক সময় রিক্সা উল্টিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গাচুরা রাস্তা দিয়ে মানুষ হাট-বাজার করা ও মালামাল আনা-নেয়া করতে পারছে না। তারাব স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ভাই কি আর বলমু ভাই, গত ১০ বছর ধরে কেউ রাস্তাটা মেরামত করে নাই। মন চায়না এই রাস্তাটি দিয়ে বের হই, কিন্তু কিছুই করার নাই এটা ছাড়াতো আর বের হওয়ার রাস্তাও নাই। বিএনপির সময় একবার মেরামত করছিল। এরপর দেখতে দেখতে প্রায় এক যুগ চলে গেছে আর কাউরে মেরামত করতে দেখি নাই। এ ভাঙ্গচুরা রাস্তা দিয়ে অনেক কষ্টে আমাদের চলাচল করতে হয়। সুলতান বাগের জিয়াউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত রাস্তার এ বেহাল দশা দেখার যেন কেউ নেই। তারাব পৌর মেয়রের কাছে অনেক আবেদন করেও কোন ফল পাইনি। শুধু আশ্বস দিয়ে যাচ্ছে রাস্তা হবে, তবে কবে হবে আমরা জানি না। টাটকি এলাকার শাহ আলম মিয়া বলেন, স্যার কি আর কমু কতই কইলাম মেয়রের কাছে মেয়র খালি শান্তনাই দিয়ে যাচ্ছে রাস্তা মেরামত হবে। আমাগো গ্রামের কোন গর্ভবতী মহিলা ও জরুরী রোগী এ রাস্তা দিয়ে আনা-নেওয়া করা যায় না। হাট-বাজার ও মালপত্র আনা-নেয়া করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। দশম শ্রেণীর ছাত্রী বিউটি আক্তার বলেন, ভাঙ্গা-চুরা রাস্তার কারনে স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়। কাদাঁ-পানি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। ঝড়-বৃষ্টি হলে ছোট ছোট শিশুরা ভাঙ্গা চুরা রাস্তা কাদাঁপানি দিয়ে স্কুলে যেতেই পারে না। এ ব্যাপারে কথা হয় পৌর মেয়র হাসিনা গাজীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারাব বাজার থেকে সোনালী পেপার মিল পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের টেন্ডার হয়ে গেছে। অচিরেই এ রাস্তার কাজ ধরা হবে। তবে সুলতানা কামাল সেতু থেকে তারাব বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি সড়ক ও জনপথের। সড়ক ও জনপথের উপ-প্রকৌশলী অব্দুস সাত্তার বলেন, এই রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে বৃষ্টির কারণে রাস্তার কাজ করতে পারছে না। বৃষ্টি কমলেই দ্রæত এই রাস্তাটি মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।