পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে - এনবিআর চেয়ারম্যান
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি নিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যা রের্কড (১৯ শতাংশ) প্রবৃদ্ধি। টানা তৃতীয়বার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যপূরণে হ্যাটট্টিক করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে অভিন্ন ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায়ের পরিকল্পনা থেকে সরকার সরে আসায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় পরিকল্পনা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্যমাত্রার বেশি রাজস্ব আদায়ের তথ্য তুলে ধরে এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সদস্য, কমিশনার, উপ কমিশনারসহ এনবিআর কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টানা তিন অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সব মিলিয়ে এক লাখ ৮৫ হাজার তিন কোটি ৬৯ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে এনবিআর। যা তাদের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
গত অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ তিন হাজার ১৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে এক লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছিল এনবিআর। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা, আদায় সন্তোষজনক না হওয়ায় তা সংশোধন করে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি থেকে নামিয়ে আনা হয় ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা।
আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এক লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়ের দাবি করে এনবিআর। ওই অর্থবছরের বাজেটে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, টানা তিন অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণের রেকর্ড সৃষ্টি করলাম। নতুন অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ আরও বাড়াতে রাজস্ব কাঠামো শক্তিশালী করা হচ্ছে। তবে ভ্যাট আইন কার্যকরে ব্যর্থতার পর এবছর আরও বড় লক্ষ্য পূরণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। আর ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকাই এনবিআরের মাধ্যমে আদায় হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রী তার এই বাজেট সাজিয়েছিলেন নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের মাধ্যমে ভ্যাট থেকে ৯১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরে। কিন্তু ঘরে বাইরে সব পক্ষের বিরোধিতায় সব ক্ষেত্রে অভিন্ন ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায়ের পরিকল্পনা থেকে সরকারকে সরে আসতে হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় পরিকল্পনাও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
রাজস্ব আদায় নিয়ে এনবিআরের সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান পরিচালক বেলাল চৌধুরী। তিনি নতুন অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব অর্জনের জন্য এনবিআরের বেশ কিছু পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সরকার নির্ধারিত মূল লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ তিন হাজার একশত বায়ান্ন কোটি টাকা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন দু’টি প্রতিষ্ঠান যথা বিপিসি ও পেট্রোবাংলা বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধ করছে না, যার ফলে তাদের কাছে বকেয়া দীর্ঘ দিন ধরে পুঞ্জিভ‚ত হচ্ছে। কেবলমাত্র পেট্রোবাংলার কাছে এলটিইউ (ভ্যাট) এর মোট বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। তাছাড়া চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বকেয়ার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
মো. নজিবুর রহমান বলেন, করদাতাদের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা পেলে আগামী অর্থবছরের নির্ধারিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।