পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : নেকাবের বিরুদ্ধে মিশরের পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপিত হতে যাচ্ছে। নারীদের মুখ ঢেকে রাখে, এমন পোশাক পাবলিক প্লেসে পরা নিষিদ্ধ করতে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। মিশরের পার্লামেন্ট নতুন এই আইনটি পাস হলে পাবলিক প্লেস ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে নেকাব পরে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। দেশটিতে মুসলিম নারীদের মধ্যে অনেকেই শুধুমাত্র চোখ বাদে মুখম-ল ঢেকে রেখে বোরকা পরে থাকেন। দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য ও আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক আইনের অধ্যাপক যিনি এই আইনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, দাবি করেন, নেকাব পরতে ইসলামে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তার দাবি, এই সংস্কৃতিটি অন্য ধর্ম থেকে ইসলামে এসেছে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরবের ইহুদিদের ঐতিহ্য ছিল এটি। এছাড়াও নারীদের মুখ ঢেকে রাখার বিষয়টি কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি আরো বলেন, এর বদলে কুরআনে শালীন পোশাক পরতে ও চুল ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে, কোথাও মুখ ঢাকতে বলা হয়নি। গত কয়েক বছরে মিশরের বিভিন্ন স্থানে নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় তার চিকিৎসা অনুষদের ডাক্তার ও নার্সদের নেকাব পরা নিষিদ্ধ করে। বহু পশ্চিমা দেশ নেকাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও মুসলিম বিশ্বের খুব কম দেশেই এটি নিয়ে বিতর্ক আছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।