Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়া ফিরে না আসা এবং ষড়যন্ত্র করার উদ্ভট প্রচারণা

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান : আজ মাত্র একটি বিষয় টাচ করবো না। করবো তিনটি বিষয়। কারণ, বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায় দ্রুত গতিতে। এক সপ্তাহ পর পর আমার এই কলামটি প্রকাশিত হয়। এক সপ্তাহে অনেক ঘটনাই ঘটে যায়। গত সপ্তাহে অন্তত তিনটি ঘটনা ঘটেছে যেগুলো উল্লেখ না করলেই নয়। প্রথমটি হলো সাভারের এমপি ডাক্তার এনামুর রহমানের একটি রক্ত হিম করা তথ্য। মানব জমিনকে তিনি বলেছেন যে, তার এলাকা এখন অত্যন্ত শান্ত। কোনো গোলযোগ নাই ,উচ্ছঙ্খলতা নাই, কোনো সন্ত্রাস নাই। কারণ , তিনি ৫ ব্যক্তিকে ক্রস ফায়ারে দিয়েছেন এবং ক্রস ফায়ারের জন্য ১৪ জনের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। দ্বিতীয় খবর হলো, বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রাকে কেন্দ্র করে তিনটি প্রচারণা। এই তিনটি প্রচারণাকে সংযুক্ত করলে যা দাঁড়াবে সেটি হবে তৃতীয় খবর। প্রথম প্রচারণা হলো, মামলার ভয়ে তিনি লন্ডন পালিয়ে গেছেন। দ্বিতীয় প্রচারণা হলো, তিনি আর লন্ডন থেকে ফিরবেন না। তৃতীয় প্রচারণা হলো, তিনি লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। আসুন, সব গুলো বিষয় নিয়ে এক এক করে আলোচনা করি। প্রথমে বেগম জিয়ার লন্ডন যাত্রা কেন্দ্রিক প্রচারণা প্রসঙ্গ।
প্রথম প্রচারণা হলো এই যে, মামলার ভয়ে তিনি নাকি লন্ডন পালিয়ে গেছেন। এই অভিযোগ করেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তারা সরকারে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দলেও গুরুত্বপূর্ণ। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারণায় আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের। আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আরো আছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন। অন্যেরাও আছেন। আমি আর তাদের নাম উল্লেখ করলাম না।
আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর মন্তব্যে। তিনি দিনাজপুরের এক সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান। তার পিতা হাসান আলী পাকিস্তান আমলে মন্ত্রী ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ছাত্রজীবনে একজন ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অর্থনীতিতে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন। তৎকালীন পাকিস্তানের সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসে পরীক্ষা দিয়ে ফরেন সার্ভিস পান। তারপর থেকেই তিনি একজন ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট। তিনি ছাড়া আরো দুজন অফিসার ডক্টর মশিউর রহমান এবং ডক্টর সৈয়দ আব্দুস সামাদ পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসে পরীক্ষা দিয়ে সিভিল সার্ভিস পান। সেই থেকে তারা দুজনেই সিএসপি অফিসার এবং মাহমুদ আলী পিএফএস অফিসার। এই তিন জনই ব্যাচ মেট। মশিউর রহমান ছিলেন ইংরেজির ছাত্র এবং সৈয়দ আব্দুস সামাদ ও মাহমুদ আলী ছিলেন অর্থনীতির ছাত্র। ছাত্র জীবনে এরা কে কোন দল করতেন সেটি আমার জানা আছে। এদের সম্পর্কে আমার এত কথা জানার একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। সে কারণটি আজ থাক।
ক্যাডার সার্ভিসের অফিসার থাকাকালে এই তিন অফিসারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হন। ডক্টর সামাদ প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়া সত্তে¡ও সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে আমার জানা নাই। এ পর্যন্ত তিনি এমন কোনো কথা বলেননি যেটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। ডক্টর মশিউর রহমান শুধু মাত্র অনার্স এবং এমএতেই ফার্স্ট ক্লাস পাননি, আই এ পরীক্ষাতেও রাজশাহী বোর্ড থেকে ফার্স্ট হয়েছিলেন। তিনিও মোটামুটি বিতর্কের উর্ধ্বেই থাকছিলেন। তবে ট্রানজিট, মাশুল, ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেন যেগুলো বিরোধী শিবিরে বিতর্কের ঝড় তোলে। সেই সময় সেই ব্যাচে যারা অত্যন্ত ব্রিলিয়ান্ট ছিলেন তাদের মধ্যে এই তিনজন ছাড়া আরেক জন ছিলেন ডক্টর মিজানুর রহমান শেলী। অবশ্য ডক্টর শেলী রাজনৈতিক দল থেকে নিজেকে সযতেœ সরিয়ে রেখেছেন।
এদেরকে নিয়ে এতগুলো কথা বলার কারণ হলো মাহমুদ আলীর একটি উক্তি। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি অত্যন্ত ভদ্র, মার্জিত এবং মৃদুভাষী ছিলেন। চাকরী জীবনেও তাই। যে সব অফিসারের নাম বললাম তাদের মধ্যে মাহমুদ আলী একমাত্র ব্যক্তি যিনি চাকরী জীবন শেষ করে আওয়ামী লীগে জয়েন করেন এবং আওয়ামী লীগের টিকেটে এমপি হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় শেখ হাসিনার তৃতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন। আগের মেয়াদে এমপি এবং পরের মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হওয়া সত্বেও রাজনীতি নিয়ে তেমন একটি কথা কোনো সময় তিনি বলেন নি। তিনি বরং তার মন্ত্রণালয় নিয়েই সব সময় কথা বলেছেন। কিন্তু এ বারই এবং এ মাসেই তিনি এমন একটি কথা বলেছেন যেটা শুনে শিক্ষিত মানুষরা হতভম্ব হয়ে গেছেন। শিক্ষিত মহলের মতে বেগম জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে মাহমুদ আলী সাহেব যা বলেছেন সেটি পলিটিক্যাল মিনিস্টার বললে মানুষ হয়তো এত অবাক হতো না। কিন্তু মাহমুদ আলী বলায় মানুষ হতবাক হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, বেগম জিয়া নাকি ষড়যন্ত্র করার জন্য লন্ডন গেছেন এবং সেখানে বসে ষড়যন্ত্র করছেন।
দুই
আগেই বলেছি যে, এই ধরণের মারাত্মক মন্তব্য অন্য কোনো পলিটিক্যাল মিনিস্টার করলে অবাক হতাম না। কিন্তু মাহমুদ আলীর মতো মানুষ বলেছেন বলেই অবাক হচ্ছি। যদি তিনি ষড়যন্ত্র করার জন্য গিয়ে থাকেন তাহলে বেগম জিয়া সেখানে কি ধরণের ষড়যন্ত্র করছেন সেটি বলা দরকার। সেটি কি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র? নাকি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র? নাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র? রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথাটি কেউ বিশ্বাস করবে না। এর আগে তিনি তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তখন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ ছিল তার সবচেয়ে বেশি। তখন তো তিনি কোনো ষড়যন্ত্র করেননি। এখন তাহলে তিনি ষড়যন্ত্র করবেন কেন? ষড়যন্ত্র করলে তার বীজ তো নিশ্চয় ঢাকায় বোনা হয়েছিল। তাহলে তাকে লন্ডন যেতে দেওয়া হলো কেন? ঢাকাতেই তাকে কেন আটকে দেওয়া হলো না? সকলের মনে আছে যে, দুবছর আগে সম্ভবত ২০১৫ সালে বেগম জিয়া যখন লন্ডন যান তখনও বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে একই রকম প্রচারণা হয়। বলা হয় যে, তিনি লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তখনও বলা হয়েছিল যে, তিনি দেশে ফিরবেন না। তার পর বেগম জিয়া দেশে ফিরে আসেন। অথচ, সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেনি, এমনকি কোনো তদন্ত বা অনুসন্ধানও করেনি। সুতরাং এটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে, সেদিন তার বিরুদ্ধে যেসব প্রোপাগান্ডা করা হয়েছিল সে সম্পর্কে আজ মানুষ নিসন্দেহে বলতে পারে যে, ওসব ছিল নেহায়েৎ অপপ্রচার এবং বিএনপি তথা বেগম জিয়াকে কোণঠাসা করার একটি চক্রান্ত। একই কথার পুনারবৃত্তি করে এবারও বলতে চাই যে, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বক্তৃতা ও বিবৃতি না দিয়ে যদি কোনো প্রমাণ সরকারের হাতে থাকে তাহলে সেগুলো নিয়ে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হোক। নাহলে এত বড় নেতার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন সিরিয়াস অভিযোগের এই খেলা বন্ধ হোক।
তিন
বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়া নাকি মামলার ভয়ে পালিয়ে লন্ডন গেছেন। অবাক লাগে যে, এই অভিযোগটি করেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও বটে। একই অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেছেন,‘ খালেদা জিয়া মামলা মোকাবিলা করার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তার ছেলে তারেক জিয়ার সাত বছরের জেল হয়েছে, তিনিও জেল খাটার ভয়ে ফেরারি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’ ‘তারেক জিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশ গিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজে লিপ্ত রয়েছেন’ মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যারা দেশকে ভালবাসে না তারা কীভাবে এদেশের মানুষের সমর্থন পাবে। ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যে আমি অবাক হয়নি। কারণ, ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগ তথা আওয়ামী লীগ করছেন এবং এখন আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি। যারা রাজনীতি করতে করতে বড় হন তাদেরকে দলের স¦ার্থে এবং বিরোধী দলকে ঘায়েল করার জন্য সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে অনেক কিছুই বলতে হয়। তাই জনগণ এই ধরণের পলিটিশিয়ানদের কথা শোনে ঠিকই, তবে সেই সব কথা তাদের এ কান দিয়ে ঢুকে ঐ কান দিয়ে বেরিয়ে যায়। তবে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন দুই মেয়াদে মন্ত্রী আছেন। প্রথম মেয়াদে তিনি কোনো পলিটিক্যাল বক্তব্য দেননি। তখন তিন জনশক্তি রপ্তানি মন্ত্রী ছিলেন এবং জনশক্তি রপ্তানি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী হয়েও তিনি দলীয় রাজনীতির কথা বলেন নি। তবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মন্ত্রণালয় পরিবর্তিত হয়ে যখন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফের ওপর স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নের দায়িত্ব পড়লো তখন থেকে তিনি একটু একটু পলিটিক্সের কথা বলা শুরু করেন।
প্রশ্ন হলো, মামলার ভয়ে এবং জেল খাটার ভয়ে বেগম জিয়া পালিয়ে যাবেন কেন। একথা যদি আগে ভাগেই জানা থাকলো যে মামলায় তার জেল হবে, তাহলে সরকার বেগম জিয়াকে দেশের বাইরে যেতে তথা মন্ত্রীদের ভাষায় পালাতে দিল কেন? আপনি কি জেনে শুনে কোনো আসামিকে এভাবে পালাতে দেবেন? আর এমন তো নয় যে, বেগম জিয়া গোপনে গোপনে ভিসা করে এবং টিকেট কেটে হুট করে বিমান বন্দরে হাজির হয়েছিলেন। তাকে তো ইমিগ্রেশন পার হয়েই বিমানে চড়তে হয়েছে। এ ছাড়া ২১ দিন আগে থেকেই বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট আসছে যে, বেগম জিয়া জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লন্ডন যাচ্ছেন। টেলিভিশন এবং পত্র পত্রিকায় এ খবরও এসেছে যে, লন্ডনে তিনি তার চিকিৎসা করাবেন এবং তার পুত্র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে তার দল এবং দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন এবং দলীয় নীতি এবং কৌশল নির্ধারণ করবেন। এক মাস আগে থেকেই যার বিদেশ যাত্রার খবর দেশের কোটি কোটি মানুষ জানে, তার লন্ডন যাত্রা পালিয়ে যাওয়া হয় কিভাবে? বিমান বন্দরের আশে পাশে হাজার হাজার মানুষ তাকে বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। তার পরেও কি বলবেন যে তিনি পালিয়ে গেছেন?
চার
প্রচারণা চলছে যে, বেগম জিয়া নাকি আর দেশে ফিরবেন না। একই প্রচারণা চলেছিল গতবার, সম্ভবত ২০১৫ সালে। সেবারও ঠিক একই ভাষায় শাসক দলের নেতারা এই প্রচারণা চালিয়েছেন। কিন্তু তার পর কি হলো? দুই মাসও যায়নি, বেগম জিয়া ঠিকই দেশে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সব অভিযোগ চুপসে যায়। দুই বছর ধরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কার্পেটের নিচ চাপা থাকে। ‘পলাতক’ খালেদা জিয়া ঘটা করে দেশে ফেরেন। হাজার হাজার কর্মী তাকে বিমান বন্দরে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবারেও। আবার শাসক দলের নেতারা খামোশ হয়ে যাবেন। তবে সমস্য হলো এই যে, আওয়ামী লীগের এই ধরণের ওয়াইল্ড প্রচারণার দাঁত ভাঙ্গা জবাব বিএনপি নেতারা দিতে জানে না।
প্রিয় পাঠক, লেখাটি ইতোমধ্যেই বড় হয়ে গেছে বলে সাভারের এমপি ডাক্তার এনামুর রহমানের ৫ জন ক্রস ফায়ার এবং ক্রস ফায়ারের জন্য ১৪ জনের তালিকার বিষয়টি আলোচনা করা সম্ভব হলো না।

[email protected]



 

Show all comments
  • জায়েদ ২৪ জুলাই, ২০১৭, ২:০৫ এএম says : 2
    ক্রস ফায়ারের বিষয় নিয়ে আপনার লেখাটি পড়ার অপেক্ষায় আছি।
    Total Reply(0) Reply
  • রাকিবুল ইসলাম ২৪ জুলাই, ২০১৭, ২:০৫ এএম says : 1
    একদম খাঁটি কথা বলেছেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেগম জিয়া


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ