পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের দোহাই না দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সঙ্কট এড়াতে ক্ষমতাসীনদের সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, বর্তমান সঙ্কটটি রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সংবিধানের কথা বলে সমঝোতার পথ এড়িয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে না। সংবিধানকে এখানে বড় করে দেখার কোনো উপায় নেই।
সংবিধান জনস্বার্থের উর্ধ্বে হতে পারে না। মনে রাখতে হবে জনগণের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য জনগণ নয়। গতকাল (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর উদ্যোগে ‘সহায়ক সরকারের অধীনের জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, অতীতেও অনেক রাজনৈতিক সঙ্কট সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। যেমন ১৯৯১ সালে যে নির্বাচনটা হলো। সেই নির্বাচনে কী লেখা ছিলো যে, একজন প্রধান বিচারপতি তার অফিস থেকে, তিনি তার পদে থেকে উপরাষ্ট্রপতি হবেন। তারপরে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন- এটা কী লেখা ছিলো? সুতরাং পুরো বিষয়টা একটা পলিটিক্যাল ক্রাসিস। এটাকে রাজনৈতিকভাবে একটা সমাধানে আসতে হবে। তারপরে প্রশ্ন উঠবে যে, সংবিধান কতটুকু থাকবে, কতটুকু থাকবে না, সংবিধান সংশোধন করতে হবে কি হবে না। এটা একটি রাজনৈতিক সমঝোতার ওপর নির্ভর করবে। সংবিধান সংশোধনের পর নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠনের সুযোগ নেই বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বলে আসার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সমঝোতার উপর ভিত্তি করেই আগামী নির্বাচন হতে পারে। ১৯৯১ সালে যেভাবে হয়েছিল। তখন রাজনৈতিক সমঝোতার ওপর ভিত্তি করেই সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। সেটা করতে হয়েছিল কেন? রাজনৈতিক কারণে, সাংবিধানিক কারণে নয়। সংবিধানে এই ধরণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মওদুদ বলেন, এতে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য কোনো রোডও নাই, ম্যাপও নাই। একটি একদলীয় শাসন কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, কীভাবে আওয়ামী লীগকে সরকারে পুনর্বাসন করা যায়, সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। একটু খেয়াল করে দেখবেন, নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সকল রাজনৈতিক দলের সমান অধিকার দেওয়া হবে- এই শব্দগুলো অনুপস্থিত। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না বলেও মত জানান মওদুদ। এনিয়ে ক্ষমতাসীন দলের বক্তব্যের জবাবে মওদুদদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নাই। ২০০৮ সালে তখনকার সেনা সমর্থিত সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে প্যারোলে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমাদের নেত্রীকে অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি আপস করেন নাই। পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস নেই বেগম খালেদা জিয়ার।”
ঢালী আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মওদুদ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাম্মী আখতার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।