Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন কমিশনকে শুধু আইনগত দায়িত্ব নয়, নৈতিক দায়িত্বও পালন করতে হবে-ড. আকবর আলী খান

নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র ছায়া সংসদ

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রোডম্যাপ কথাটি বেশ গালভরা। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ তৈরীর আইনগত ও নৈতিক দাযিত্ব দুটোই রয়েছে। নৈতিক দায়িত্ব পালন করা না হলে আমরা যে সংঘাতময় অবস্থায় আছি, তা থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে না। নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য শুধু রোড ম্যাপই যথেষ্ঠ নয়। নির্বাচন কমিশনকে নমনীয় ভাব পোষন করে সকল রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করে গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা, ক্ষমতা ও সামর্থ্য আছে কিনা তা দেখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে যে সংকট বিরাজমান তা সমাধান না হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম ক্ষমা করবে না। 

গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. আকবর আলী খান আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ তৈরি করা হয় মূলতঃ দুটি কারণে। প্রথমটি হলো, আইনগত দায়িত্ব পালনের জন্য আর দ্বিতীয়টি হলো নৈতিক দায়িত্ব পালন। আমরা যে সংঘাতময় অবস্থায় আছি, তা উত্তরণে শুধু আাইনগত দায়িত¦ পালন যথেষ্ঠ নয়, এজন্য প্রয়োজন নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত¦ পালন করা। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
বাংলাদেশে এমন রাজনৈতিক দল আছে, যারা মনে করে যে আইনগতভাবে নির্বাচন হলেও যদি ভোট দেয়া না হয়, তবু সরকার বৈধ। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ৫০শতাংশ অনির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গঠিত সরকার আইনগত ভাবে বৈধ হলেও নৈতিকভাবে গ্রহনযোগ্য কিনা বলে ড. আকবর আলী খান উল্লখ করেন। রাজনৈতিক দলের এ ধরনের মনোভাব পরিবর্তন করা উচিত উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন, সকল রাজনৈতিক দল ও দেশের আপামোর জনসাধারন যদি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে তাহলে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহনমূলক করা সম্ভব।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশের জনগন অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন প্রতাশা করে, যে নির্বাচনে সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। জাতি কোনভাবেই একতরফা নির্বাচন দেখতে চায় না। জনগনের এ প্রত্যাশাকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন। আবারও একতরফা নির্বাচন হলে বাংলাদেশের গনতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং বহির্বিশে^ আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। তাই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ তৈরী করার ওপর তিনি গুরুতারোপ করেন। তিনি আরো কলেন, অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন না হলে আওয়ামীলীগ ঘোষিত ভিশন-২০২১ ও ২০৪১ এবং বিএনপি ঘোষিত ভিশন-২০৩০ কোন ভিশনই সফলতার মুখ দেখবে না। তিনি নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপকে ইতিবাচক পদক্ষেপ অভিহিত করে এটিকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জনান।
প্রতিযোগিতায় শেরে-বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, অধ্যাপক আবু রইস এবং সাংবাদিক সোমা ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ