Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুধু অর্থ বরাদ্দ দিলেই হবে না প্রকল্পও থাকতে হবে - ড. আকবর আলী খান

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান বলেন, কেবল অর্থ বরাদ্দ দিলেই হবে না, প্রকল্পও থাকতে হবে। আবার সেই প্রকল্প কতটা কার্যকর ও দুর্নীতিমুক্ত তারও তদারকি করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭ পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন । ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগ এবং অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ কর্মসূচি এই সেমিনারের আয়োজন করে। ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ-এর পরিচালক কেএএম মোরশেদ-এর সঞ্চালনা করেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল বায়েস।
তিনি আরো, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে যদি তা শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের বেতনেই খরচ হয়ে যায়, তবে শিক্ষার মানোন্নয়নের খরচ কোথায়? বাজেট কেবল ‘উচ্চাভিলাষী’ হলেই চলবে না, বাস্তবায়নযোগ্যও হতে হবে। কর সংস্কারের জোরালো পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী নতুন ৩ লাখ করদাতাকে করের আওতায় আনবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ কমে যেতে পারে। আমি মনে করি, উচ্চহারে  কর না বাড়িয়ে ধীর গতিতে বাড়াতে হবে। অন্যথায় বিভিন্ন শ্রেণীর অসন্তোষের কারণে বিনিয়োগ ব্যাহত হতে পারে।
ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের কথা বলেছেন। কিন্ত‘ রাজস্বের মূল অংশ আসে কর থেকে। এবার পরোক্ষ কর ৬১ শতাংশ, এতে নি¤œ আয়ের মানুষেরাই বেশি চাপে পড়বে। বিশ্বব্যাংকের মতে, চাইল্ডকেয়ার ছাড়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে যে ব্যয় হয়, তাতে বেশি উপকারভোগী হয় স্বচ্ছলেরাই। ’
মূল প্রবন্ধে ভিশন-২০২১ ও এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবতার নিরিখে বাজেটের বর্তমান আকার, বাজেট ঘাটতি, কর কাঠামো ও করনীতির সীমাবদ্ধতাসহ সমসাময়িক উন্নয়ন বিষয়সমূহ উঠে আসে। পরিশেষে সরকার-এনজিও সম্পৃক্ততা শক্তিশালীকরণ, উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স সৃষ্টি, সামাজিক ও স্বাস্থ্যখাতে অধিকতর বরাদ্দ, এবং কৃষিবান্ধব নীতি-সহায়তা ও কৃষি বিনিয়োগসহ আটটি সুপারিশ করা হয়।
প্রফেসর ড. আব্দুল বায়েস মূল প্রবন্ধে সরকার-এনজিও সম্পৃক্ততার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ১৯৭০ এর দশকে ব্র্যাক-এর ওরাল স্যালাইন কর্মসূচি, আশির দশকে শিশু-টিকা ও নব্বইয়ের দশকের পর থেকে যক্ষ্মা প্রতিরোধ, বর্গাচাষী ঋণ বিতরণ, হতদরিদ্র সহায়তা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারি কর্মসূচি সফল করে ব্র্যাক এখন সামাজিক খাত উন্নয়নে সরকারের পরীক্ষিত সহযোগী। ২০১৬-১৭ সালের বাজেটের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ও মূল্যায়নে বিশেষত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অতিদারিদ্র্য বিমোচন কিংবা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ক্ষেত্রে সরকার-এনজিও সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে। এতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যেমন কমবে তেমনি প্রকল্পের ব্যয় সাশ্্রয়ী বাস্তবায়ন হার বৃদ্ধি পাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শুধু অর্থ বরাদ্দ দিলেই হবে না প্রকল্পও থাকতে হবে - ড. আকবর আলী খান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ