রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদিক মামুন : কুমিল্লার ষোল উপজেলার সতেরটি থানা এলাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় পৌনে তিনশো মামলা হয়েছে। থানায় রেকর্ডকৃত মামলা ছাড়াও গত ছয় মাসে বøাস্ট কুমিল্লা ইউনিটের পক্ষ থেকে নারী শিশু নির্যাতন, যৌতুক, ভরণপোষন সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে ২০৬টি মামলা হয়েছে। থানা ও বøাস্টের হিসেব অনুযায়ি গত ছয় মাসে মামলার সংখ্যা প্রায় পৌনে পাঁচশো। তবে বিচারিক কাজে গতিশীলতা সৃষ্টি হওয়ায় কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটরের অভিমত, বিচারিক আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন হলে ট্রাইব্যুনালে বিচার, নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ঝুলে থাকা মামলাগুলোর জট অনেকাংশে কমে আসবে। আর লাঘব হবে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি।
কুমিল্লার ষোল উপজেলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কোতয়ালি, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, বরুড়া, চান্দিনা, দাউদকান্দি, তিতাস, মেঘনা, হোমনা, মুরাদনগর, দেবিদ্বার ও বাঙ্গরা থানায় ২৭৬টি মামলা হয়েছে। গেলো ছয় মাসে নারী শিশু নির্যাতনের সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে চান্দিনা ও দেবিদ্বার উপজেলায়। নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনায় চান্দিনা ও দেবিদ্বার থানায় ৩০টি করে মামলা হয়েছে। আর বরুড়ায় ২৮টি, কোতয়ালীতে ২৬টি, সদর দক্ষিণে ২৩টি ও বুড়িচংয়ে ২১টি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলায় ৭ থেকে ২০টির নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তবে গত ছয় মাসে মেঘনা উপজেলায় মাত্র ৪টি ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এবারে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা অনেকটা কমে এসেছে। কুমিল্লার সমাজ বিজ্ঞানী, শিক্ষক, আইনজীবী, নারী সংগঠক ও আইনি সহায়তা সংস্থার কর্মীদের মতে, তদন্তের দুর্বলতার কারণে অপরাধীরা নানাভাবে মামলা থেকে পার পেয়ে যাওয়া বা তাদের কঠোর সাজা না হওয়ায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতামূলক অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। তবে এক্ষেত্রে পারিবারিক সচেতনতা, সামাজিক অবক্ষয় রোধ এবং তথ্য প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলো বর্জন করলে এধরনের অপরাধ কমে আসবে।
এদিকে আইনি সহায়তা সংস্থা বøাস্ট কুমিল্লা ইউনিটের মাধ্যমে গত ছয় মাসে যৌতুক, নারী নির্যাতন, ভরণপোষন সংক্রান্ত ২০৬টি মামলা আদালতে দায়ের করা হয়েছে। আর ওইসব বিষয়ে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে ৩৫৮টি। বøাস্ট কুমিল্লা ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার জাহান বলেন, পুলিশ ও বøাস্টের রেকর্ডের বাইরেও কুমিল্লায় নারী ও শিশু নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। এধরণের পরিবারগুলো সাধারণত আত্মসম্মানের কথা ভেবে বা সামাজিক লজ্জায় আইনের দ্বারস্থ হয়না। গত ছয় মাসে বøাস্ট কুমিল্লা ইউনিট এধরণের ঘটনার ১৯৯টি মামলা, অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে চার হাজারের বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে বেশ ত্বরিতগতিতে মামলা কার্যক্রম চলছে। আগের তুলনায় মামলা নিস্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জনাব আজিজ আহমেদ ভূইয়া বিচারাধীন মামলার জট কমিয়ে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা অনেকটা বাড়িয়েছেন। এখানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মাত্র একটি। আর একটি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক বিচারাধীন মামলার কাজ সারাটা কষ্টসাধ্য। এছাড়া প্রতি কার্যদিবসেই নতুন মামলা আসছে। সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল নারী ও শিশু নির্যাতনের দুইটি বিচারিক আদালত বাড়ানো হবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বিচার প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।