Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছোট একটি ব্রিজ ঘুচাতে পারে দুই লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো ঃ খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন-ছনপাড়া সড়কের রাণীপুরায় ব্রিজ পুনঃনির্মাণে ২ লাখ মানুষের দুর্ভোগ দূর হতে পারে বলে করেছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী সিরাজ, মোবারক, ফজলুল হক, তোফাজ্জল, জালাল উদ্দিন, সাত্তার, মনসুর, সোহেল, সজিব, আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে রানীপুরা ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর কোন সংস্কার করা হয়নি। যার ফলে ৭-৮বছর আগে ব্রিজের কিছু কিছু অংশে ফাটল দেখা দেয়। পর্যায়ক্রমে গেল ২ বছর ধরে ব্রিজটির বিভিন্ন অংশের ইট, বালি ও ঢালাইর অংশ খসে পরতে থাকে। এক সময় রড-ই যেন ব্রিজের এক মাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিজের র‌্যালিং, ভিম আর প্রতিটি পিলারেই রয়েছে অসংখ্য ফাটল আর ধসে পরা অংশে আটকে আছে রডের বড় বড় খাঁচা। পিলালের গোড়ায় মাটি না থাকায় গাড়ি চলার সময় ব্রিজটি অতিমাত্রায় কাঁপতে থাকতো। একদিকে ঢাকা-সিলেট ও মদনপুর-গাজীপুর মহাসড়কের লিংক রোড হওয়ায় এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬-৭ হাজার গাড়ি চলাচল করে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রো, প্রাইভেটকারসহ মালবাহী ট্রাক-লরীও চলতে দেখা যেতো। ব্রিজটি দিয়ে গাড়ী আসার সময় জায়গার সঙ্কটে বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য আরেকটি গাড়ী অতিক্রম করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটতো। এতে প্রায় সময়ই ব্রিজ ও তার আশে পাশে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকতো। অন্যদিকে কাঞ্চন পৌরসভা এবং ভোলাব ইউপির একমাত্র সংযোগস্থ্যল এই ব্রিজটি দিয়ে রাণীপুরা, করাটিয়া, পুবেরগাও, সনপারা, আতলাপুর, ভোলাব, কেরাবো, নোয়াগাও, কেন্দুয়াসহ আশেপাশের প্রায় ৫০টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক লোকের যাতায়াত। তাছাড়া ব্রিজটির দিয়েই প্রতিদিন ১৪-১৫টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। ব্রিজের পাশেই রয়েছে স্থানীয় হাট-বাজার। জীবণের ঝুকিনিয়েই প্রতিনিয়ত ভাঙ্গা ব্রিজেই আসা-যাওয়া করতেন তারা। ব্রিজটি এসময় ভঙ্গুর হয়ে পরলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ভারীযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরও সব ধরনের গাড়িই অবাধে চলতে দেখাযেতো। ইতিমধ্যে একাধীক আহতের ঘটনাও ঘটে এই ব্রিজে। স্থানীয়রা আরো জানায়, গত বছরের শেষের দিকে ব্রিজটি সংস্কারের কাজ হাতে নেয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলার প্রায় বছর খানেক চলতে থাকলেও পুনঃনির্মাণের কোন কাজই দেখা যাচ্ছেনা। তবে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে দিলেও অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এহসান জানান, আপাতত চলাচলের জন্য একটি বিকল্প রাস্তা করে দেয়া হয়েছে। ব্রীজের কাজটি দ্রæত সমাপ্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ