পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রত্যাশা মতোই ভারতের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এনডিএপ্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ। ৬৫.৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি। তার বিপক্ষে মাত্র ৩৫.৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বিরোধীদের প্রার্থী মীরা কুমার।
রাইসিনা হিলে দেশের দ্বিতীয় দলিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রবেশ করবেন রামনাথ কোবিন্দ। ৭,০২,০৪৪ ভোট পেয়েছেন রামনাথ। তার বিপরীতে ৩,৬৭,৩১৪ ভোট পেয়েছেন বিরোধীদের প্রার্থী মীরা। রামনাথ পেয়েছেন ৫২২ সাংসদের ভোট ও মীরা পেয়েছেন ২২৫ সংসদ সদস্যের ভোট। ২৯৩০ সংসদ সদস্য-বিধায়ক সমর্থন দিয়েছেন কোবিন্দকে। ১৮৪৪ সাংসদ-বিধায়কের সমর্থন গেছে মীরা কুমারের দিকে। বাতিল ৬৭ ভোট। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বাতিল ১০টি বিধায়ক ভোট।
আশঙ্কা মতোই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হয়েছে ক্রস ভোটিং। গুজরাট, আসাম, গোয়া, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে ক্রস ভোটিং। সব ক্ষেত্রেই রামনাথের পক্ষে গেছে সব ক্রস ভোট। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১১ জন বিধায়কের ভোট পড়েছে কোবিন্দের পক্ষে। সেখানে মাত্র ৫টি ভোট পাওয়ার কথা ছিল নয়া প্রেসিডেন্টের।
২৫ জুন শপথ নেবেন ভারতের ১৪তম প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। এর আগে বিহারের রাজ্যপাল পদে ছিলেন তিনি। পেশায় আইনজীবী কোবিন্দ ১৯৯৪ থেকে উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০০৬ মার্চ পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ বছর তিনি সংসদ সদস্য পদ সামলেছেন। গতকাল জয়ের পর রামনাথের প্রতিক্রিয়া- ‘এই দায়িত্ব উপহারের মতো। সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা কর্তব্য। ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে লড়াই করব। কাজ করব নিপীড়িত ও প্রান্তিকদের জন্য। সকলকে অনেক ধন্যবাদ।’
কানপুরের নিভৃত পল্লীতে ১৯৪৫ সালে ১ অক্টোবর জন্ম হয় রামনাথ কোবিন্দের। কমার্স নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশুনা শেষ করার পর কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পাশ করেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টে এবং ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকারের কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন।
রামনাথ কোবিন্দ ১৯৭৪ সালে সবিতা কোবিন্দকে বিয়ে করেন। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।
২০১৫ সালের ৮ আগস্ট বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি তাকে বিহারের রাজ্যপাল নিয়োগ করেন। বর্তমানে বিহারের রাজ্যপাল হিসেবেই নিয়োজিত আছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয় গত ১৭ জুলাই সোমবার। প্রেসিডেন্টকে বেছে নিতে দেশের জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেন। ৩২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। এরমধ্যে একটি কেন্দ্র ছিল পার্লামেন্ট হাউসের ভেতর,২৯টি বিধানসভায় একটি করে ২৯টি কেন্দ্র এবং দুটি ইউনিয়ন টেরিটরিতে আলাদা দুটি ভোটকেন্দ্র ছিল। সব মিলিয়ে ৪১২০ জন বিধায়ক ও ৭৭৬ জন সংসদ সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পান। রিটার্নিং অফিসার জানান,সোমবার ৯৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। গতকাল সকাল ১১টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রথমে খোলা হয় সংসদ থেকে জমা পড়া ভোটের বাক্স। তারপর রাজ্য থেকে আসা ভোট গণনা করা হয়। চারটি আলাদা আলাদা টেবিলে আট দফায় চলে গণনা। এনডিএ ছাড়াও কোবিন্দকে সমর্থন করেছে বিজেডি, জেডিইউ, এডিএমকের মত দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ১৪তম প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছাবার্তায় কোবিন্দের সঙ্গে ২০ বছর আগের ছবি পোস্ট মোদির
২০ বছরের পুরনো পরিচিতি। সম্পর্কের দুই দশক পর সহকর্মীর এমন জয়ের দিনে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত সহযোদ্ধা রামনাথ কোবিন্দ্য। প্রধানমন্ত্রী মোদির তরফ থেকে এল অভূতপূর্ব শুভেচ্ছা বার্তা। দু’দশকেরও বেশি সময়ের ঘনিষ্ঠতা আজ সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোবিন্দের সঙ্গে তোলা ২০ বছর আগের একটি ছবি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাতে দেখা যাচ্ছে, দু’দশক আগে কোবিন্দের কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে সা¤প্রতিক একটি ছবিও পোস্ট করেন মোদি। যেখানে রামনাথ কোবিন্দসহ মোদির সঙ্গে রয়েছেন পুরো কোবিন্দ পরিবার। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।