Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা গ্রেফতার ৫

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর কদমতলী এলাকায় দুই নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জামাল খান পাটোয়ারি, রাজিব হাওলাদার, জাকির শিকদার, মো: রফিকুল ইসলাম শামীম ও মফিজ উদ্দিন সরকার।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো: ফরিদ উদ্দিন বলেন, জামালকে ফতুল্লা ও রাজিবকে ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর জাকির ও রফিকুলকে যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর এবং মফিজকে গ্রেফতার করা হয় কদমতলী এলাকা থেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গত ১৮ জুন রাতে কদমতলী থানার নামা শ্যামপুর পূর্ব জুরাইন এলাকা থেকে পারুল বেগম নামে এক নারীর হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর ১০ জুলাই পূর্ব জুরাইন থেকে ফরিদা বেগম নামে আরেক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দুই নারীকেই ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ ছিল। সেই সন্দেহ থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করে বলে জানিয়ে ফরিদ উদ্দিন বলেন, পারুলের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জামাল ও রাজিব আর ফরিদার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জাকির, রফিকুল ও মফিজকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জামাল ও রাজিব পরস্পরের বন্ধু। আর পারুলের সঙ্গে পরিচয় ছিল রাজিবের। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে সেই রাতে রাজিব ও জামাল পারুলের বাসায় হালিম, পানীয় ও আম-পেয়ারা নিয়ে যায়। ওই রাতে পারুলের গাড়িচালক লিটন তার কর্মস্থলে ছিল। হালিম ও পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আনে তা পারুলকে খাওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছে রাজিব ও জামাল। পারুল ওই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তারা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে পারুল জেগে উঠলে দু’জন মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর ঘর থেকে মোবাইল, সোনার দুল ও টাকা নিয়ে চলে যায়। ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো: ফরিদ উদ্দিন বলেন, ফরিদার ঘটনাটি ঘটিয়েছে জাকির, রফিকুল ও মফিজ। রফিকুল ও মফিজ ফরিদার সঙ্গে একই পোশাক কারখানায় চাকরি করত। তারা পূর্বপরিচত। স্বামী মারা যাওয়ার পর পূর্ব জুরাইনে একটি বাসায় ফরিদার একা থাকার বিষয়টি রফিকুল ও মফিজ জানত। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ৭ জুন তিনজন ফরিদার বাসায় যায়। পূর্বপরিচিত হওয়ায় ফরিদা তাদের সঙ্গে কথা বলছিল জানিয়ে পুলিশের উপ-কমিশনার ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ সময় রফিকুল জোর করে ফরিদাকে ধর্ষণ করে। পরে বাকি দু’জনও তাকে ধর্ষণ করে। ফরিদা শেষের দিকে চিৎকার শুরু করলে মফিজ তার মুখে চাকু ঢুকিয়ে দেয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের কোনো চক্র কি না জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এদের ওইভাবে চক্র বলা যাবে না। তবে রাজিব ছিল পেশাদার চোর। এ ঘটনার আগে কিছু চুরি ও ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরেছি। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ