হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মোহাম্মদ আবদুল গফুর : যদি এমনটা চিন্তা করা যেতো যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার কোন শত্রæ নেই, তার চাইতে আনন্দের ব্যাপার আর কিছুই হতে পারতো না। বাংলাদেশের যে সব নেতা-নেত্রী এ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সমাসীন হয়েছেন তারা সকলেই তাদের পররাষ্ট্র-নীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ সকল দেশের সাথে মিত্রতা তথা বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী এবং কারো সাথেই বৈরিতা তথা শত্রæতার সম্পর্ক চায় না। এ নিরিখে বিশ্বে বাংলাদেশের কোন শত্রæ থাকার কথা নয়। কিন্তু এর পরও কঠিন বাস্তবতা এই যে, বাংলাদেশের যেমন শত্রæ আছে, তেমনি আছে মিত্রও।
যদি তরুণ প্রজন্মের কাউকে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতম মিত্র দেশ কোন্্টি? তাদের কেউ কেউ কাল বিলম্ব না করে চোখ বুঁজে বলে দেবে ভারতই বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতম মিত্র দেশ। কারণ একাত্তুরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দখলদারিত্ব থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে শুধু কূটনৈতিক পর্যায়ে নয়, সামরিক বাহিনী পাঠিয়েও মুক্তি বাহিনীকে সাহায্য না করলে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের পরাক্রান্ত সেনাবাহিনীকে পরাজিত করা মোটেই সহজ হতো না। একাত্তরে ভারতের এই সামরিক সহযোগিতার কথা বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং নেতা-নেত্রী সব সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের জেলে আটক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল তিনি পাকিস্তানের অখÐত্ব ধ্বংস করতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে। ভারতসহ মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতাদানকারী সকল দেশের ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধু আর কখনও তাঁর মাতৃভূমিতে জীবন্ত ফিরে আসতে পারবেন না, যদিও তাঁদের সকলের দাবী ছিল পাকিস্তান যেন তাঁকে যথাশীঘ্র মুক্তিদান করে।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে একাত্তুরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পরাজিত বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী জেনারেল নিয়াজী যখন বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর পরিবর্তে ভারতীয় বাহিনীর আঞ্চলিক কমাÐার জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পন করেন, তখন বাংলাদেশের অনেকে অবাক হন, এমনটা হতে পারলো কেমন করে। কারণ তারা তখনও জানতেন না, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বদানকারী মুজিবনগর সরকারকে ভারতের জমিনে পাওয়ার সুবাদে ঐ সরকারের প্রধান বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্র প্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলামকে এমন একটি সাতদফা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন, যার মধ্যে ছিল :
(এক) মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর কমাÐের অধীনে থাকবে।
(দুই) বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সে দেশে ভারতীয় বাহিনী অবস্থান করবে। (কতদিনের জন্য তা নির্দিষ্ট থাকবে না)।
(তিন) বাংলাদেশের কোন নিজস্ব সেনাবাহিনী থাকবে না।
(চার) মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছে, তাদের মধ্যে থেকে একটি মিলিশিয়া গঠন করা হবে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ শান্তি শৃংখলা রক্ষার উদ্দেশ্যে।
(পাঁচ) মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি, এমন সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত করা হবে। প্রয়োজনে ভারতীয় কর্মকর্তাদের দিয়ে শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
(ছয়) বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উন্মুক্ত সীমান্ত বাণিজ্য চলবে।
(সাত) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়নের সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, এই অসম চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য হবার পরপরই সৈয়দ নজরুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন।
[দ্রষ্টব্য : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে র’ এবং সিআই এর ভূমিকা- মাসুদুর রহমান]।
যেমনটা ভারতীয় নেতৃবর্গ আশা করেছিলেন, বাস্তবে সব কিছু তেমনটি ঘটেনি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবন্ত মুক্তি লাভ করেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি প্রথমে লন্ডন যান। সেখানে অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের সাথে ভারতের সম্পাদিত সাত দফা চুক্তি সম্পর্কে অবহিত হন এবং এ সম্পর্কে তাঁর ইতিকর্তব্যও স্থির করে ফেলেন। লন্ডন থেকে দেশে প্রত্যাবর্তনের পথে দিল্লীতে স্বল্প বিরতিকালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে প্রথম সুযোগেই তিনি সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন, ম্যাডাম, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনীকে কখন ফিরিয়ে আনবেন? জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, আপনি যখন বলবেন, তখনই। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনীর অপসারণ সহজ হয়ে ওঠে।
এরপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর শেখ সাহেব ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। এই ঘোষণাকে শুধু তিনি তাঁর কথার কথায় সীমাবদ্ধ রাখেননি। কিছু দিন পর যখন মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থা ও-আইসির লাহোর সামিটে যোগদানের আমন্ত্রণ আসে, তখন ভারত বাংলাদেশের সে সামিটে যোগদানের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। এ পরিস্থিতিতে কী করা যেতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণ করতে তিনি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর শরণাপন্ন হন। মওলানা সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, তুমি যদি একটি স্বাধীন দেশের নেতা হয়ে থাকো তা হলে সামিটে যোগ দাও, আর যদি তুমি তা না হয়ে ভারতের আশ্রিত রাজ্যের নেতা হয়ে থাকো তা হলে ভারত যা চায় তাই করো।
এ পরোক্ষ জবাবে বঙ্গবন্ধু তাঁর কাংখিত দিক-নির্দেশনাটি পেয়ে গেলেন এবং লাহোরের ইসলামিক সামিটে যোগদানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। এখানে উল্লেখযোগ্য, শেখ সাহেব যেদিন ইসলামিক সামিটে যোগ দিতে লাহোর যান, সেদিন ভারতের রাজধানী দিল্লীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। অথচ-এর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের কাছে ছিলেন দেবতার মতো পুজ্য ব্যক্তিত্ব। এসব কথা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এ কারণে যে, ইসলামিক সামিটের পরবর্তী সভা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
ইতিহাসের এসব ঘটনা থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা এই যে একজন মানুষের যেমন থাকে বহুমুখী পরিচয় তেমনি একটি দেশেরও থাকতে পারে একাধিক পরিচয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছিল পাকিস্তান নামের একটি বৃহত্তর শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রকে দ্বিখÐিত করে দুর্বল করে দেয়ার লক্ষ্যে, একটি শক্তিশালী স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, সে লক্ষ্যে নয়। তাই লাহোর ইসলামী সামিটে বাংলাদেশের যোগ দেয়া ভারতের পছন্দ ছিল না। কিন্তুু বাংলাদেশ যেমন একটি উপমহাদেশীয় রাষ্ট্র, তেমনি মুসলিম বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র, যার কথা শেখ সাহেব ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পদার্পনের মুহূর্তেই জানিয়ে দেন।
সাম্প্রতিককালের আরেকটি ঘটনাও এক্ষেত্রে উল্লেখের দাবী রাখে। মধ্যপ্রাচ্য তথা মুসলিম বিশ্বের বিষফোঁড়া নামে কুখ্যাতি অর্জনকারী দেশ ইসরাইলের প্রতি ভারতীয় নেতৃবৃন্দের মনে যত দুর্বলতাই থাক ভারতের কোন নেতা-নেত্রী ইতোপূর্বে তা প্রকাশের দু:সাহস দেখাননি। ইসরাইলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দুর্বলতা থাকার সুবাদে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পÐিত জওহরলাল নেহরু একবার সৌদী আরব সফরে গিয়ে শান্তির বাণী বাহক তথা রসূলুস সালাম উপাধি লাভ করেন। একথা আমাদের অনেকের মনে আছে। কিন্তু এর পরও ভারতের কোন নেতা-নেত্রী ইসরাইলের সাথে অতিরিক্ত মাখামাখির পথ অনুসরণ করেননি। কিন্তু অন্যান্য ভারতীয় নেতানেত্রী কখনও যা করার সাহস দেখাননি, তাকে পরোয়া করবেন কেন এককালের ‘গুজরাটের কশাই’ কুখ্যাতি অর্জনকারী ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?
তিনি শুধু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইসরাইলেই রাষ্ট্রীয় সফরে যাননি, মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করে শত্রæর শত্রæ যে পরম মিত্র, এ প্রবাদটিরও শত্রæতা প্রমাণ করেছেন। তাঁদের এ গভীর মিত্রতার মূল ভিত্তি কি? অবশ্যই মুসলিম-বিদ্বেষ। স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনী মুসলমানদের রক্তে যে ইসরাইলী নেতা-নেতানিয়াহুর হাত রঞ্জিত তিনি গুজরাটের অসহায় মুসলমানদের রক্তে যার হাত রঞ্জিত সেই গুজরাটের কশাই হিসাবে কুখ্যাতি অর্জনকারী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যেই তাঁর প্রকৃত বন্ধু খুঁজে পেয়েছেন এটাই তো স্বাভাবিক। ইসরাইলের সঙ্গে ভারতের এই বন্ধুত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে উভয় নেতা এই বলে তৃপ্তি প্রকাশ করেছেন যে, এই বন্ধুত্বের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় স্বর্গে, তা মর্ত্যে বাস্তবায়িত হলো আমাদের দ্বারা।
তাই বলছিলাম কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের কোন স্থায়ী শত্রæ বা মিত্র থাকতে পারে না। পরিস্থিতি ভেদে আজকের মিত্র আগামীকাল আমাদের শত্রæর ভূমিকায়ও অবতীর্ন হতে পারে। একাত্তুরে যে ভারত আমাদের মিত্র দেশ হিসাবে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে ছিল, সেই ভারতই কিন্তু পরবর্তীকালে গঙ্গার উজানে ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তার উজানে গজলডোবা বাঁধ নির্মাণ করে শুকনা মওসুমে বাংলাদেশকে শুকিয়ে মারা এবং বর্ষাকালে বাঁধের সকল গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে মারার অপচেষ্টায় থাকে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের এক বিশাল এলাকা বাংলাদেশকে থেকে বিচ্ছিন্ন করে সেখানে একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়াসে মদদ দেয় প্রতিবেশী ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র। এখানেই শেষ নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভ্রান্ত অবাঙ্গালী পাহাড়ীদের অস্ত্র যোগান দিয়ে বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকা জুড়ে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির সৃষ্টির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী ‘বন্ধ’ু দেশ ভারত।
এসব তো গেল আমাদের স্বাধীন অস্তিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের মুসলিম বিরোধী ভূমিকার কথা। যারা বাংলাদেশের অধিবাসী হয়েও নিজেদের ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত ক্ষুদ্রতর স্বার্থে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি, জাতীয় সর্বভৌমত্ব ও জাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের লিপ্ত, তারা কি স্বজ্ঞানে, সচেতনভাবে বাংলাদেশ-বিরোধী চক্রান্তে অংশগ্রহণ করছেন না?
সুতরাং বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে শুধু প্রতিবেশী দেশসহ বিদেশী দেশসমূহই লিপ্ত একথা সত্য নয়। ইতিহাসেও আমরা দেখতে পাই, গুটিকতক ইংরেজ এসে ১৭৫৭ সালে আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে পারতো না যদি রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ, জগৎ শেঠ প্রমুখ কুচক্রীরা নবাবীর লোভ দেখিয়ে সিরাজ উদ্দোলার প্রধান সেনাপ্রতি মীর জাফর আলী খানকে প্রলুব্ধ না করতো। আমাদের আজকের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ছাড়াও আরও কত লোকের যে রক্ত ও ঘাম ঝরাতে হয়েছে সেটা স্মরণ করে বাংলাদেশের শত্রæ মিত্র আমাদের সঠিকভাবে চিনে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সর্বাত্মক সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া ছাড়া বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন কখনও সফল হবার নয়। এই কঠোর সত্যটি আমাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।