Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতীয় গোয়েন্দারা জঙ্গি মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি -পুলিশ কমিশনার

| প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় গ্রেফতার সোহেল মাহফুজকে ভারতের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে এই হামলায় তর জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে।
গতকাল সকালে ডিএমপি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, গুলশানে হলি আর্টিজান হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রায় শেষ, শিগগিরই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে। গুলশান হামলার ফরেনসকি ও পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ যাতীয় তথ্য প্রমাণ এখন পুলিশের হাতে। নব্য জেএমবি নেতা সোহেল মাহফুজ রিমান্ডে গুলশান হামলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ৬ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার সোহেল মাহফুজ ওরফে নসরুল্লাহকে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরকের জোগানদাতা বলছে পুলিশ। সোহেল মাহফুজ হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরিকল্পনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ মামলারও আসামি তিনি। তাকে ধরিয়ে দিতে ভারতীয় পুলিশ ২০১৪ সালে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভারতীয় গোয়েন্দারা সোহেল মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর হোলি আর্টিজান হামলায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই মামলার অভিযোগপত্র শিগগিরই দেওয়া হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে এ মামলা-সংশ্লিষ্ট ফরেনসিক প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে পুলিশ।
এর আগে বলা হয়েছিল, সোহেল মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাক্সফোর্স (এসটিএফ) ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তারা। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ নিয়ে সোহেল মাহফুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল ভারতীয় গোয়েন্দাদের।
উল্লেখ্য, গুলশানের হলি আর্টিজান হত্যাকান্ড, বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার সর্ববৃহৎ এ ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ১ জুলাই। হামলা প্রতিরোধের প্রথম প্রহরেই জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। পরের দিন যৌথ বাহিনী বিদেশি নাগরিকসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত এবং মোট ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে সকালের দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্সের কার্যালয়ে গাড়ী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কমিশনার বলেরেছন, ট্রাডিশনাল অপরাধ দমনে পুলিশের মবিলিটি বাড়লে অপরাধ কমবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ব্যবহারের জন্য দুইটি হাইএস মাইক্রোবাস প্রদান অনুষ্ঠানে কমিশনার আরো বলেন, নগরবাসীকে সেবা ও নিরাপত্তা দিতে আমরা সচেষ্ঠ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই গাড়ী আমাদের অফিসারদের বিলাসিতা করার জন্য নয়। জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে এই গাড়ীর ব্যবহার করা হবে। ডিবিবিএল শুধু লাভ করে না। সব সময় সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে তারা সহযোগিতা করে থাকেন। ডিএমপির ২৫ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ভাতা ডিবিবিএল এ হয়। আগামীতেও ডিবিবিএল এর সাথে আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুদৃঢ় হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিএমপি বিগত দিনে অনেক চড়াই উত্তাই পার করে এসেছে। জনগণের ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে প্রতিটি সংকট আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করে উঠে এসেছি। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে যে নাগরিক ঐক্যবোধ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করি এদেশে কোন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন। এজন্য ডিবিবিএলসহ সকলকে জানায় আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা প্রত্যাশা করি সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ গড়তে সব পেশার মানুষকে নিয়ে একসাথে কাজ করবো।
গাড়ী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড(ডিবিবিএল)এর চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল কাসেম মোঃ শিরিনসহ ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ