পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ধানমন্ডির ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষিকা ফেরদৌসি একরাম ফৌসিয়া নিখোঁজের ১৭ দিন পরেও সন্ধান মিলেনি। এ ব্যপারে পুলিশও কোননো তথ্য পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত।তিনি জীবিত না নিহত, না কি নিজেই কোথাও চলে গেছেন তার কিছুই জানে না তার পরিবার। গত ২ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর গ্রীন রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে ফেরদৌসি আর ফিরে আসেননি। নিখোঁজের পরদিন ৩ জুলাই এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বড় ভাই এম এহসান উল্লাহ।
পুলিশ জানায়, শিক্ষিকা ফেরদৌসি একরামের খোঁজে পুলিশের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ শুরু করেছে। গত ২ জুলাই সন্ধ্যায় গ্রিন রোডের বাসা থেকে তিনি বের হয়ে যান। এক ছাত্রের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে তিনি বাসা থেকে বের হন বলে জানা যায়।
ফেরদৌসি নিখোঁজের বিষয়টি তদন্ত করছেন কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলুর রহমান। এ ব্যপারে জানতে চাইলে এসআই বাবুল বলেন,স্কুল কর্তৃপক্ষ ও তার পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। তার ছবিসহ নানা তথ্য বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শিক্ষিকা ফেরদৌসি একরাম জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আমরা অনেক কিছুই সন্দেহ করছি। জানা যায়,ফেরদৌসির গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তার দাদা সেখান থেকে ঢাকার কলাবাগানে বাড়ি করেন অনেক আগেই। ফেরদৌসি ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশপাশি রাজধানীর আরো একটি স্কুলে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করতেন। আর কলাবাগানের বাড়িটি ডেভলপার কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। তিনি পরিবারের সঙ্গে গ্রীন রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
ফেরদৌসি নিখোঁজ হওয়ার পর শুরুতে স্কুলে বলা হয়েছিল তার শারীরিক অসুস্থতার কথা। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে নিখোঁজ হওয়ার তথ্য গোপন রেখেছিল তার পরিবার। ফেরদৌসির বড় ভাই এ কে এম এহসান উল্লাহ জানান, তারা ৪ বোন ও এক ভাই। এর মধ্যে ফেরদৌসি ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতরা করতেন। ফেরদৌসি নিয়মিত নামাজ পড়তেন এবং বাইরে যাওয়ার সময় বোরকা পড়তেন। ঘটনার দিন বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কারো সঙ্গে তার কোনো ঝগড়াও হয়নি।
কলাবাগান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, ওই শিক্ষিকা যে ফোনটি ব্যবহার করতেন তা বাসায় রেখে গেছেন। তা উদ্ধার করে কললিস্ট বের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।