পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে গতকাল ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজেপি ও এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বিরোধীদলীয় প্রার্থী মীরা কুমারের মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হচ্ছে।
গতকাল (সোমবার) সংসদ ভবনের পাশাপাশি প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভা ভবনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। ফল ঘোষণা হবে আগামী বৃহস্পতিবার। বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ জুলাই এবং ২৫ জুলাই ভারতের নয়া প্রেসিডেন্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। রাজনৈতিক সমীকরণ ও এমপি এমএলএ’র সংখ্যার নিরিখে নির্বাচনে সরকার পক্ষের প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তাকে বিজেপি শিবির ছাড়াও বিরোধী পক্ষের বেশ কিছু সদস্য সমর্থন করেছেন। ত্রিপুরার ৬ তৃণমূল বিধায়ক রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোয়াপধ্যায় মীরা কুমারকে ভোট দিয়েছেন। তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়ার পর কোলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার মনে হয়, মীরা কুমার সবচেয়ে বেশি ভোট পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাবেন। আমাদের এই ভোট প্রতিবাদের ভোট। আমরা হেরে যাব জেনেও ভোট দিয়েছি তার কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদকে নথিভুক্ত করিয়েছি। এই বুকের পাটা আমরা ছাড়া আজ অনেকের নেই। আজও যারা ‘বিজেপি জুজু’র ভয়ে বিজেপিকে সমর্থন করছেন তারা জেনে রাখবেন বিজেপি কিন্তু আগামীদিনে আপনাদেরও ছাড়বে না। সুতরাং সকলকে জোট বাঁধতে হবে। এটা জোট বাঁধার একটা শুভক্ষণ’।
তিনি বলেন, ‘ভারতে অন্যায় ও অত্যাচার চলছে, গো-রক্ষার নামে সহিংসতা, দাঙ্গা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করা, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক কাজ করা, রাজনৈতিক প্রতিহংসা দিয়ে ভারতকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, বর্ডারগুলো উত্তপ্ত, দেশকে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’ মমতা বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওরা দাঙ্গা করে রাজ্য সামলাবেন! আগে তো নিজেদের ‘হনুমান’গুলোকে নিজেরা সামলাক! হনুমানগুলোকে লেজে আগুন দিয়ে ছেড়ে দিয়ে রাজ্য সামলাবেন!’
গতকাল সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা ও নিম্নকক্ষ লোকসভায় এমপি’রা ভোট প্রদান করেন। অন্যদিকে, প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভার সদস্যরা বিধানসভা ভবনে ভোট প্রদান করেন। সূত্র : পার্স টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।