Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বগুড়ায় চলছে জামায়াতের গোপন প্রস্তুতি

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জাতীয় পার্টির পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বগুড়া জেলা জামায়াতেও চলছে ব্যপক প্রস্তুতি। দলীয় নেতাদের নামে শত শত মামলা এবং সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনায় প্রশাসনিক বাধার কারণে সব প্র্রস্তুতিই চলছে গোপনে। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় ১৯৭০ একটিতে ( কাহালু ) ১৯৮৬ তে ১টিতে ( বগুড়া সদরে ) এবং ১৯৯১ সালে ১টি (শিবগঞ্জে ) আসনে জামায়াত প্রার্র্থীরা বিজয়ী হয়েছিলো। বগুড়ায় সর্বশেষ অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের ৫ জন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১১ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়। ফেসবুক ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে জামায়াতের প্রচারিত তথ্যসূত্রে জানা যায় , বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) সংসদীয় আসন এলাকায় গত উপজেলা নির্বাচনে দুই উপজেলাতেই জামায়াত সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যানরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। এ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছে সাবেক জেলা আমীর অধ্যাপক নাজিমুদ্দিন, সোনাতলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক এবং সাবেক পৌর কাউন্সিলর এরশাদুল হক।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) সংসদীয় আসনের সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ,মহিলা) সকল ক্যাটাগরিতেই জামায়াতের প্রাথীরা বিজয়ী হয়। তাছাড়া ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে জামায়াত এ আসনে বিজয়ী হয়েছিলো। তাই আসনে জামায়াতে ইসলাম শরিক জোটকে ছাড় দিতে নারাজ। এ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রাথীদের তালিকায় রয়েছে, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আলমগীর হোসাইন, সাবেক এমপি শাহাদুজ্জামান এবং সাবেক কেন্দ্রীয় শিবির নেতা শাকিল উদ্দিন ।
বগুড়া-৩ (দুপচাচিয়া-আদমদীঘী): এ আসনের দুই উপজেলায় জামায়াত সবশেষ উপজেলা নির্বাচনে দুপচাঁচিয়ায় চেয়ারম্যান এবং আদমদীঘিতে দুই ভাইস চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়। এ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রাথী দুপচাঁচিয়া উপজেলার দুইবারের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মন্ডল।
বগুড়া -৪ (কাহালু-নন্দিগ্রাম) এ আসনের দুই উপজেলাতেই জামায়াতের সমর্থিত প্রাথীরা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলো। তাই এখানেও বিএনপি বা জোটকে ছাড় দিতে নারাজ । এ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রাথীরা হলো কাহালু উপজেলার ৪ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যাক্ষ তায়েব আলী, নন্দিগ্রাম উপজেলার দুইবারের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল।
বগুড়া -৫ (শেরপুর-ধুনট) এ আসনের শেরপুর উপজেলায় জামায়াতের চেয়ারম্যান এবং ধুনট উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলো। এ আসনে জামায়াতের প্রাথী হিসেবে শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দবিবুর রহমান রুকনদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। ইতিমধ্য তিনি সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার এবং গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছে ।
বগুড়া-৬ (সদর): এ আসনে সবশেষ উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের পুরুষ এবং মহিলা প্রাথীরা বিজয়ী হয়। এ আসনে জামায়াতের প্রাথী হিসেবে কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক জেলা আমীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাক্ষ শাহাবুদ্দিন চুড়ান্ত হয়েছে।
বগুড়া-৭ (শাহজাহানপুর-গাবতলি) প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান গাবতলী উপজেলা এবং শাহজাহানপুর উপজেলায় বিএনপির ন্যায় জামায়াত সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী। ১৯৭০ কাহালুতে এবং ১৯৮৬ সালে বগুড়া সদরে জামায়াতের প্রার্থী ফকির আব্দুর রহমান এমপি নির্বাচিত হয়েছিলো। ২০০৯ এর উপজেলা নির্বাচনে শাহজাহানপুর থেকে জামায়াতের প্রাথী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলো। এ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রাথীদের তালিকায় রয়েছে সাবেক জেলা আমীর গোলাম রব্বানী, সাবেক ঢাকা মহানগর শিবির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ফয়সাল পারভেজ এবং মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের যে কয়টি জেলায় সাংগাঠনিকভাবে শক্তিশালী তার মধ্য বগুড়া জেলা একটি। কিন্তু জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করায় বারবার বিএনপিকে ছাড় দিতে হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে জামায়াত নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোর জনবল চাঙ্গা রাখতে এবং সবাইকে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই গোপনে গোপনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ