Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে বাসায় ডেকে আনা হয়নি

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ইভান

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি ইভান। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন ইভান। তবে ভিকটিমকে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তিনি বাসায় ডেকে আনেননি বলেও জানান। ওই রাতে স্ত্রী ও পুত্র লালবাগের বাসায় ছিলেন। বনানীর বাসা ফাঁকা থাকায় তিনি ভিকটিমকে বাসায় আসতে বলেন। গতকাল চারদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলা তদন্তককারী কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই সুলতানা আক্তার। জবানবন্দি শেষে ইভানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবদুল মান্নান বলেন, ইভানের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী জানান, ওই দিন রাতে তিনি প্রথম ইভানের বাসায় যান। একই সঙ্গে তরুণী দাবি করেন, তার নিজের বাসা, খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট এলাকা, নিকুঞ্জ, বনানী এবং ইভানের গাড়িতে বেশ কয়েকদিন তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তবে এ সম্পর্ককেও ধর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করেন তরুণী। পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর থানায় হলেও এজাহারে তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানা উল্লেখ করেছেন। এ তরুণী প্রথমে পুলিশকে জানিয়েছিলেন মা-বাবার সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই (পরে জানান, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। কিন্তু মোবাইল নম্বর মুখস্থ নেই)। এসব কারণে তরুণীর অভিভাবকদের খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছিল। ইভানের স্ত্রী টুম্পা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, পাঁচ হাজার টাকার কন্ট্রাক্টে ইভানের বাসায় এসেছিল ওই তররুী। শারীরিক সম্পর্কের পর পুরো টাকা পরিশোধ করেনি ইভান। কারণ, তখন বাসায় টাকা ছিল না। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। টুম্পার দাবি, তরুণী একা ওই বাসায় আসেননি। তার এক ছেলে বন্ধুকে নিয়ে এসেছিলেন। ওই ছেলে বন্ধু বাসার বাইরে অবস্থান করছিল। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই ছেলে বন্ধুকে ফোন করে তরুণী জানায়, ১০-১২ পিস ইয়াবা নিয়ে আয়। এই বাসায় বসে ইয়াবা খাব। তখন ইভান বলেন, বাসায় এসব হলে মা-বাবা ঘুম থেকে জেগে যাবে। পরে সমস্যা হবে। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তরুণীকে জোর করে বাসা থেকে বের করে দেয় ইভান। ইভান পুলিশকে জানিয়েছে, আমি তাকে কোনো জন্মদিনের কথা বলিনি। বাসায় এ ধরনের কোনো আয়োজনও ছিল না। সে আমার কাছে টাকা ধার চেয়েছিল। আমিও টাকা দিতে রাজি ছিলাম। তাই তাকে বাসায় আসতে বলেছি। গভীর রাতে দুজনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছি। সে নিজের ইচ্ছায় তার ড্রেস খুলে আমার টি-শার্ট ও থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পরে। উল্লেখ, গত ৪ জুলাই ইভান তার জন্মদিনের কথা বলে ওই তরুণীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ৫ জুলাই ওই তরুণী বনানী থানায় ইভানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এরপর তরুণীকে নিয়ে ইভানের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে না পেয়ে ওই দিন দুপুরেই পুলিশ তরুণীর অভিযোগটি মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করে। এরপর গত ৬ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খালার বাসা থেকে র‌্যাব-১১ তাকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার (৭ জুলাই) র‌্যাব তাকে বনানী থানার কাছে হন্তান্তর করে। ওই দিনই ইভানকে (২৮) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ