Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের শিকড় অনেক গভীরে -ড. মসিউর রহমান

| প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা এবং সম্পর্ক এত ঘনিষ্ট যে একে কোন সুক্ষ মাপকাঠি দিয়ে মাপা সম্ভব নয়। এই সম্পর্কের শিকড় অনেক গভীরে। দু’দেশের মধ্যে ছোটখাট মতপার্থক্য থাকতেই পারে; কিন্তু সম্পর্কের মূল ভিত্তি হবে কিভাবে আমরা একে অপরের কাজে আসতে পারি। সকল ক্ষেত্রে সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক বোঝাপাড়ার ওপর গুরুত্ব অনেক। গতকাল সকালে খুলনা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্যদের মাঝে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার প্রবর্তিত মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশীপ স্কীমের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ভারতীয় হাই-কমিশন এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমীর যৌথ আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
ড. মসিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিভিন্ন সময় মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দু’দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিক এতটাই অভিন্ন যে বিদ্যমান সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবর্তিত এই মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশীপ স্কীম তারই একটি প্রকাশ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরীদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশীপ স্কীম চালু করে। এ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে যার আর্থিক মূল্যমান ১৫ কোটি টাকা। এবছর ছয়শতরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাঁচটি বিভাগের ৫৭০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল খুলনা অঞ্চলের ৩০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃত্তির চেক বিতরণ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তিনটি কল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। যার মধ্যে রয়েছে মাল্টিপল-এন্ট্রি সুবিধাসমেত পাঁচ বছর মেয়াদী ভারতীয় ভিসা প্রদান, ভারতের হাসপাতালগুলোতে প্রতিবছর একশ মুক্তিযোদ্ধার জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প আরও পাঁচ বছরের জন্য সম্প্রসারণ করা। তিনি আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক চিরদিন অবিচ্ছেদ্য থাকবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুস সামাদ, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ এনায়েত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ এবং নগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা একাডেমির চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেএস নন্দাসহ হাইকমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্নি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডারবৃন্দ।



 

Show all comments
  • Miah Muhammad Adel ১১ জুলাই, ২০১৭, ২:৪৩ এএম says : 0
    বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। বড় পীরিতি বালির বাঁধ ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেকে চাঁদ
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ১১ জুলাই, ২০১৭, ১:০৬ পিএম says : 0
    ভারতের বন্ধুত্ব আর শ্রোতে ভাসা শেওলা একই জিনিষ। যার কোন মূল-শিকড় নেই। স্থায়ীত্বও নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ