পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ধর্ষিত তরুনীর সাথে এক আগে একাধিকবার শারিরীক সর্ম্পকের ঘটনা ঘটে। ইভানের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিও, মোবাইল সেট, মোমোরি কার্ড এবং বিভিন্ন সময় দেয়া ২ লাখ টাকা ফেরত চেয়েছে ওই তরুণী। ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে বনানী থানা পুলিশ ইভানকে জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্যও পেয়েছে। ধর্ষক ইভান যেমন বিবাহিত, তেমনি ওই তরুণীর ৫ বছর বয়সী সন্তান রয়েছে। ওই সন্তান এখন তার নানীর কাছে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে আছে। এর আগে সৈকত নামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বানানী থানার এসআই সুলতানা আক্তার গত রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আসামীকে মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাদীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে তাদের মুখোমুখি করার খবর সঠিক নয়। তদন্তের প্রয়োজনে যা করা প্রয়োজন আমরা তা করছি। সূত্র জানায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তরুণী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে সে প্রথম ইভানের বাসায় যান। একই সঙ্গে তরুণী দাবি করেন, তার নিজের বাসা, খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট এলাকা, নিকুঞ্জ, বনানী এবং ইভানের গাড়িতে বেশ কয়েকদিন তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তবে এ সম্পর্ককেও ধর্ষণ হিসেবে উল্লেখ করে তরুণী। তবে কেন আগে অভিযোগ করেনি এ ধরনের অনেক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে না ওই তরুনী। এমনটি জানিয়েছেন তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। গুলশান বিভাগের এসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কেবল ধর্ষণের বিষয়টি তদন্ত করছি। কারণ, মামলা হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগে। দু’জনের শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি ইভানও স্বীকার করেছে। তাই ধর্ষণের বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু ধর্ষণের আগে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়েছে কিনা সেটা এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ওই তরুণী তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছে, নেশা করার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা বলে ইভান তার কাছ থেকে বিভিন্ন অংকে দু’লাখ টাকা মতো নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় ঘোরাঘুরির পর হোটেলের খাওয়ার বিলও ওই তরুনী পরিশোধ করতো। গত ৪ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনানীর ২ নম্বর রোডের ন্যাম ভিলেজের ৫/এ নম্বর বাসায় পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই তরুণীকে ইভান ডেকে নেয়। বলা হয় ওইদিন রাতে তার বাসায় জন্মদিনের অনুষ্ঠান রয়েছে। এগার মাস আগে ফেসবুকে ইভানের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। চার মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিশ্বাস আনার জন্য ইভান একজন মহিলাকে দিয়ে ওই তরুণীর মোবাইলে কথা বলিয়ে দেন। বলা হয় ওই মহিলা ইভানের মা। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসলে তার মায়ের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে। ওই দিন রাতে তরুণী ইভানের বাসায় গেলে ওই বাসায় ইভান ছাড়া আর কাউকে তিনি দেখতে পাননি। পরে বাসা থেকে চলে আসতে চাইলে তাকে বলা হয় তার বাবা-মা অসুস্থ তারা পাশের রুমে ঘুমাচ্ছে। ওইদিন রাতে ইভান তাকে খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি মাদক সেবন করায়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই তরুণীকে ইভান ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে ইভান তরুণীর ভ্যানিটি ব্যাগ রেখে দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তরুণী একব্যক্তির সহায়তায় বনানী থানায় উপস্থিত হন। পরে বুধবার ৫ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে বনানী থানায় ওই মামলা রুজু হয়। পরে ৬ জুলাই নারায়ণঞ্জের মাসদাইরের পূর্ব দেওভোগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।