পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সুন্দরবনে রামপালের কয়লাভিত্তিক প্রকল্প করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, সুন্দরবনে আমরা কয়লাভিত্তিক কোনো বিদ্যুৎ প্রকল্প চাই না। পরিস্কারভাবে আমরা বলে দিয়েছি সেখান থেকে তা সরিয়ে নিতে হবে।
গতকাল (শনিবার) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন ঈদগাঁহ ময়দানে বিএনপি আয়োজিত সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রামপাল বিষয়ে ইউনেস্কোকে নিয়ে সরকার মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, রামপালের কয়লাভিত্তক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে ইউনেস্কো নাকি তাদের আপত্তি তুলে নিয়েছে। সরকার এসব মিথ্যা কথা ছড়িয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, রামপালের কয়লাভিত্তক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে ইউনেস্কো নাকি তাদের আপত্তি তুলে নিয়েছে। মিথ্যা কথা গতকালই (শুক্রবার) তাদের ওয়েবসাইটে দেখেছি। ইউনেস্কোর চার পৃষ্ঠার কনফারেন্স রিপোর্টটি পড়েছি। সেখানে এটি স্পষ্ট।’ আওয়ামী লীগকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের ক্ষতি করে কিছুতেই সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প করতে দেওয়া হবে না। ইউনেস্কো সরকারকে আশ্বাস দিয়েছে যে এর উপর আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। তারপরে এই প্রকল্প নিয়ে আগাবে তারা। এই মিথ্যা প্রতারণা কেন জনগণের সাথে? সরকার এসব মিথ্যা কথা ছড়িয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তিনি আরো বলেন, ‘এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র, তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেই। আমাদের পথ একটাই সেটা হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে।’
এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের কথা স্মরণ করে কেঁদেছেন বিএনপি মহাসচিব। তার এমন কান্না দেখে উপস্থিত নেতাকর্মীরাও কেঁদে ফেলেন। অনুষ্ঠানে মহাসচিবের কান্না দেখে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বক্তব্য দেয়ার সময় এভাবে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ায় উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমাও চান মির্জা ফখরুল। রায়পুরের বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মহাসচিব বলেন, ‘এখনো এই কষ্টের শেষ হয়নি। এখনো এই দখলদার সরকারের, যাদের কোনো বৈধতা নেই সরকারে থাকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি তাদের পেটোয়া বাহিনী পুলিশ তারা যখন-তখন এসে আপনাদের বাড়িঘরে হামলা করে, গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের অনেককেই প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন মামলার হাজিরা দিতে হয়। জানি আপনারা খুব কষ্টের মধ্যে আছেন। এই কষ্টের মধ্যেও আমি যখন এসেছিলাম তখনো আপনাদের মুখে আমি সাহস দেখেছি। আপনাদের কোনো ভয়ের মধ্যে দেখিনি আমি। অনেক কষ্ট, অনেক যন্ত্রণা, ব্যথা-বেদনা। এর মধ্যে আমরা আমাদের অনেক বন্ধুকেও হারিয়ে ফেলেছি। তারপরও আপনারা এতটুকু নড়েননি। যে বিশ্বাস যে আদর্শকে নিয়ে আপনারা দাঁড়িয়ে আছেন সেই বিশ্বাস এবং আদর্শকে শক্তি করে নিয়ে এই চরম দুর্দশার মধ্যে দুর্দিনের মধ্যেও আপনারা বুকে সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন’। স্থানীয় সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং প্রশাসনের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ঠাকুরগাঁও বড় সাধারণ জায়গা। সরল মানুষ। এই মানুষগুলোর ওপর অত্যাচার করবেন না। এই মানুষগুলোকে কষ্ট দেবেন না। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাঁদের হয়রানি করবেন না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমরা আমাদের কথা বলব, আপনারা আপনাদের কথা বলবেন। জনগণ যাকে গ্রহণ করবে, ভবিষ্যতে ভোট দেবে তারাই সরকার চালাবে। আসুন অতীতের যে পরিবেশ ঠাকুরগাঁওয়ে ছিল সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করি।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তোফায়েল হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি তেমুর রহমান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লাল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জিবরিল ইডেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।