পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো থেকে দেয়া শর্ত ও সুপারিশ সরকার মেনে চলবে। একই সাথে রামপাল প্রকল্পের কাজও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। গতকাল রবিবার বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে সাত দশমিক চার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির সহযোগিতায় প্রায় ৭৭ কোটি টাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চীনের জেডটিই করপোরেশন। বিদ্যুৎ ভবনে এককটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পিডিবির সচিব মাসুদুজ্জামান ও জেডটিই করপোরেশনের প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ক পরিচালক লি উই। তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে সুন্দরবনে কী কী ধরনের অবকাঠামো করা যাবে, সে বিষয়ে একটি কৌশলগত পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির ব্যাপারে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন ইউনেস্কোয় জমা দেয়া হবে। তবে এ সময়ের মধ্যে রামপাল প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে না, চলবে। ইউনেস্কো তো প্রতিবেদন তৈরি করার আগে, অর্থাৎ ২০১৮ সালের আগে সুন্দরবনের পাশে কোনো ধরনের ভারী অবকাঠামো ও শিল্পস্থাপন করা যাবে না বলে শর্ত দিয়েছে, তাহলে কীভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, সুন্দরবনের পাশে আর কোনো ভারী শিল্প বা অবকাঠামো নির্মাণে সরকার অনুমোদন দিচ্ছে না। তবে ইউনেস্কোর এই সুপারিশ ভবিষ্যতের অবকাঠামোর জন্য বলা হয়েছে। রামপালের কাজ তো আগে থেকেই শুরু হয়েছে এবং এখনো চলছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, রামপাল নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে, এটার অবশ্যই শেষ হওয়া প্রয়োজন। আপনারা ভালোমতো লেখেন এটা নিয়ে। যেন আর কোনো বিতর্ক না হয়।
বড় অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করার শর্তে বাংলাদেশ ইউনেস্কোতে সম্মত হয়ে এসেছে, তাহলে রামপাল কি কোনো বড় প্রকল্প নয়? চবাবে তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, কয়লা অনেক কম দামি জ্বালানি। আমাদের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ অনেক কম। তাই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আমরা করতেই পারি। আমার মনে একটি প্রশ্ন উঠেছিল কিন্তু সেখানে বলতে পারিনি। তা হচ্ছে, মায়ের চেয়ে মাসির দরদ তো আর বেশি না। সুন্দরবন আমাদের, এটি কীভাবে রক্ষা করতে হয়, তা আমরা জানি এবং তা করছি। এদিকে পিডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ সৌরশক্তি থেকে পাওয়ার প্রযুক্তি স্থাপন করছে পিডিবি। এরই অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, আগামী অগাস্ট মাস থেকে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করবে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেডটিই। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করবে তারা। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২৫ বছর। এই কেন্দ্রে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়বে ৫ টাকা ৪৮ পয়সা। আগামী বছর অগাস্টে এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত থাকলেও তিনি বক্তব্য দেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।