Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম কয়লার চালান পৌঁছেছে

মোংলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:০১ এএম

ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম কয়লার চালান গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে পৌঁছায়। ৩টি লাইটার জাহাজে করে কয়লা আসার পর আনুষ্ঠানিকভাবে খালাসের কাজ শুরু হয়েছে। আমদানি করা এ কয়লা দিয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন কাজ চালানো হবে। এরপর অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

এসময় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামউল্লাহ, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আজীম, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুউদ্দীনসহ স্থানীয় অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, বিশ্ব অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন নতুন পণ্যের জাহাজ ভিড়ছে মোংলা বন্দরে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে এমভি আকিজ হেরিটেজ নামক একটি জাহাজ। আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে আসে এমভি ড্রাগনবল নামে আরেকটি জাহাজ। বন্দর চেয়ারম্যান জানান, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা খালাসে মোংলা বন্দর ব্যবহার করার ফলে এই বন্দরের আয় অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজিএম আনোয়ারুল আজীম জানান, এটি রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম জ্বালানি কয়লা হিসেবে আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি আকিজ হেরিটেজ জাহাজে করে ইন্দোনেশিয়া থেকে এ কয়লা আমদানি করা হয়।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক মো. খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্ফা বন্দর থেকে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আকিজ হেরিটেজ জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর গত ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি। সেখানে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হয়। পরে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে জাহাজটি ছেড়ে যায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়া-১১ নম্বর বয়ায় জাহাজটি অবস্থান করার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইল) নামের ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থা। ২০১০ সালে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় নির্মাণকাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ