Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ২১ খাদ্যপণ্য রফতানির সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা

| প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত হবে : মাতলুব আহমাদ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের কারণে ভারতে বাংলাদেশ থেকে ২১টি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানির সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। ‘কৃষি, হর্টিকালচার ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পখাতের ওপর ব্যবসায়িক সম্মেলন’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স। হর্ষবর্ধন বলেন, ভারত সাধারণত আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি না থাকলে খাদ্যপণ্য আমদানি করে না। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক থাকার কারণে বাংলাদেশ থেকে ২১টি খাদ্যপণ্য আমদানির সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদসহ দুই দেশের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশে শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে এর একটি তাদের জন্যও বরাদ্দ দেয়া হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যৌথ বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রেও আমাদের সরকার উদার নীতি গ্রহণ করবে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা চাইলে প্রক্রিতাজাত খাদ্যপণ্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের বিজনেস টু বিজনেস (বি টু বি) আলোচনা দু’দেশের বিনিয়োগ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন প্রযুক্তির বিষয়ে জানতে পারছে। এছাড়া ভারত কিভাবে তাদের পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাত করছে তা আমাদের ব্যবসায়ীরা জানতে পারবেন। আমরা তাদের সঙ্গে বসছি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য। কিভাবে যৌথ উদ্যোগে শিল্পকারখানা স্থাপন করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো। যেসব পণ্য তাদের নেই অথবা তাদের আছে আমদের নেই, সেসব পণ্যের আমদানি রফতানির সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বলেন, পেঁয়াজ, মরিচ, চাল ও মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কম দামে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়াই মূল উদ্দেশ্য। আজকে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের প্রোগ্রাম এ কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে তাদের যে প্রযুক্তি আছে তার সহায়তা নিতে ব্যবসায়ী পার্টনার করতে পারবো। মাতলুব আহমাদ বলেন, দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাবে পঁচে যায়। তাদের পেঁয়াজের কোল্ডস্টরেজ আছে। এখানে এ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। যা আমরা খুঁজছি। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম দামে পেঁয়াজ কোল্ডস্টরেজ করা হবে। ভোক্তাদের কাছে সাধারণ মূল্যে বিক্রি করা হবে। আকাশ ছোঁয়া দাম আর হবে না। এ সময় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) উপদেষ্টা নাকিব আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের আলোচনা মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসার ধরন সম্পর্কে জানতে পারছি। ফলে দু’দেশের ব্যবসা বাণিজ্য আরও স¤প্রসারণ হবে।
অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশের দু’দিন ব্যাপী রক্রতা-বিক্রেতা মিলন রমলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী। গতকাল শুরু হওয়া মেলা আজ শেষ হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে মেলা।#####



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ