Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিকভ্রান্ত ও নেতৃত্ব শূন্যতায় দেশীয় চলচ্চিত্র

| প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কামরুল হাসান দর্পণ : নেতৃত্ব শূন্যতা, মেধার সংকট এবং যথাযথ উদ্যোগের অভাবে দেশের চলচ্চিত্র দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা যেমন হ্রাস পেয়েছে, তেমনি যেসব সিনেমা নির্মিত হচ্ছে সেগুলো ব্যবসা করছে না। বলা যায়, দেশের সিনেমার প্রতি দর্শক অনেকটা বিমুখ হয়ে পড়েছে। এর অন্যতম কারণ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী সিনেমা নির্মাণ না হওয়া। ‘দর্শক সিনেমা দেখছে না’ এমন একটি কথা চলচ্চিত্রাঙ্গনে ব্যাপকভাবে প্রচার হচ্ছে। এর বিপরীতে কথা উঠেছে, নির্মাতারা দর্শকদের দেখার মতো সিনেমা উপহার দিতে পারছেন না। যার পরিণতিতে দর্শক যেমন কমেছে, তেমনি সিনেমা হলগুলো ভাল সিনেমার অভাবে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে সিনেমা হলের পরিবর্তে শপিং সেন্টারসহ বড় বড় কমার্শিয়াল ভবন নির্মিত হচ্ছে। যদিও আইন অনুযায়ী বরাদ্দকৃত সিনেমা হলের জায়গায় অন্য কোনো কিছু নির্মাণ করা যাবে না। করলেও তাতে সিনেমা হল থাকতে হবে। অনেক সিনেমা হল মালিক এ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একটা সময় আমাদের দেশে প্রায় ১৬০০ সিনেমা হল ছিল। তা কমতে কমতে এখন চারশ’তে নেমেছে। এই চারশ’র মধ্যে আবার অনেকগুলো সারা বছর বন্ধ থাকে। শুধু মাত্র দুই ঈদের সময় খোলা হয়। দর্শক সিনেমা না দেখার পেছনে সিনেমা হলের পরিবেশকেও অনেকে দায়ি করছেন। চলচ্চিত্র বোদ্ধারা মনে করছেন, ময়লা পাত্রে যতই ভাল খাবার পরিবেশন করা হোক না কেন, সে খাবার কেউ খাবে না। আমাদের দেশে বর্তমানে যে কয়টি সিনেমা হল রয়েছে, তার অর্ধেকের বেশি সিনেমা দেখার উপযোগী নয়। এগুলোর বাহিরের পরিবেশ থেকে শুরু করে ভেতরের পরিবেশ অত্যন্ত নাজুক। সিনেমা হলগুলো সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সরকারের কাছ থেকে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দীর্ঘদিন ধরে চেয়ে আসছে। আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতার কারণে তা বাস্তবের মুখ দেখেনি। এদিকে সরকারিভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় সিনেমা হল নির্মাণের উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে। এ উদ্যোগ কার্যকর হলে সিনেমা হল সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। তবে কবে তা বাস্তবায়ন হবে, তা অনিশ্চিত।
দেশের সিনেমা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাওয়ার অন্যতম কারণের মধ্যে রয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধার অভাব। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে দর্শক অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত বিদেশি সিনেমা ইউটিউব থেকে শুরু করে মোবাইলে সহজে দেখতে পাচ্ছে। আমাদের দেশে আধুনিক প্রযুক্তির সিনেমা নির্মাণের বিষয়টি এখনো কল্পনাতেই রয়ে গেছে। এফডিসিকে আধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হলেও, তা বাস্তবে খুব কমই দেখা যাচ্ছে। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এফডিসির আধুনিকায়নের কাজ থমকে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এফডিসি এখন একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মাথাভারি প্রশাসন চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এফডিসির অন্যতম আয়ের উৎস এফডিসির বিভিন্ন ফ্লোর বেসরকারি চ্যানেলের কাছে ভাড়া দেয়া। অথচ এক দশক আগেও এফডিসির প্রত্যেকটি ফ্লোর সিনেমা নির্মাণে ব্যস্ত থাকত। ভাড়া পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ত। পুরো এফডিসি সিনেমার শূটিংয়ে ব্যস্ত থাকত। এখন এফডিসি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। সন্ধ্যার পর ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এফডিসি গেলে বোঝা যায়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কত দৈন্য দশা। দেশের চলচ্চিত্রের এই দৈন্য দশার সুযোগে ‘হল বাঁচাও’-এর কথা বলে কলকাতার পুরণো সিনেমা আমদানি করা শুরু করে। চলচ্চিত্রাঙ্গণের লোকজন এ নিয়ে প্রতিবাদ করেও তা ঠেকাতে পারেনি। কলকাতা এবং বলিউডে মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু পুরনো সিনেমা এনে তারা মুক্তি দেয়। এসব সিনেমাও মুখ থুবড়ে পড়ে। দর্শক প্রত্যাখ্যান করে। কারণ এসব সিনেমা দর্শক টেলিভিশনের পর্দায় একাধিকবার দেখে ফেলেছে। কলকাতা ও বলিউডের পুরনো সিনেমা ব্যর্থ হওয়ার পর কিছু প্রযোজক যৌথ প্রযোজনার দিকে ঝুঁকে পড়ে। বিশেষ করে একটি প্রযোজনা সংস্থা যৌথ প্রযোজনার নামে এদেশে কলকাতার বাজার সৃষ্টি করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। তারা একের পর এক যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ করা শুরু করে। দেখা গেল, এসব সিনেমা নামে যৌথ প্রযোজনার হলেও দেশের যৌথ প্রযোজনার যে নিয়ম ও নীতি রয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। যৌথ প্রযোজনার নিয়মের মধ্যে রয়েছে, উভয় দেশের শিল্পী ও কলাকুশলী ফিফটি-ফিফটি বা সমান হারে থাকতে হবে। গত দুই বছরে যৌথ প্রযোজনার নামে যেসব সিনেমা মুক্তি দেয়া হয়েছে, দেখা গেছে সেগুলোতে এই নিয়ম মানা হয়নি। বাংলাদেশের একজন নায়ক-নায়িকা বা ভিলেন ও অনুল্লেখ্য চরিত্র ছাড়া আর কিছুই থাকছে না। এমনকি কলকাতায় যখন সিনেমাটি মুক্তি পায়, তখন সেখানে বাংলাদেশের পরিচালকের নাম উল্লেখ করা হয় না। বলা যায়, এ ধরনের সিনেমা নামে যৌথ প্রযোজনার বলা হলেও মূলত কলকাতার সিনেমা। এবারের ঈদে যে দুইটি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা মুক্তি পায় সেগুলোর একটিতেও যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে সিনেমা দুটি মুক্তির আগেই চলচ্চিত্রাঙ্গনের ১৪টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যজোট যৌথ প্রযোজনার নামে ‘যৌথ প্রতারণা’ ঠেকাও আন্দোলনে নামে। তারা সেন্সর বোর্ড ঘেরাও থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তাদের এসব প্রতিবাদে কোনো কাজ হয়নি। সবকিছু উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত সিনেমা দুটি মুক্তি পায়। তথাকথিত যৌথ প্রযোজনার নামে সিনেমা মুক্তি দেয়াকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশে কলকাতার সিনেমার বাজার সৃষ্টির অশুভ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্মাতা বলেন, কলকাতার সিনেমার বাজার খুবই খারাপ। সেখানে তাদের নির্মিত সিনেমাই একের পর এক মার খাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তাদের সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখতে তারা বাংলাদেশের একটি বড় প্রযোজনা সংস্থার সাথে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে। এটা আমাদের চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র। দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময়ের নামে কলকাতার সিনেমার বাজার আমাদের দেশে সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ দুই দেশের মধ্যে নয়, যৌথ প্রযোজনা হচ্ছে ভারতের একটি রাজ্য পশ্চিম বঙ্গের সাথে। একেই দুই দেশের যৌথ প্রযোজনা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সিনেমার বাজারে মন্দা চলছে, তার মানে এই নয় আমরা অন্য একটি দেশের অঙ্গ রাজ্যের সিনেমার বাজার সৃষ্টি করে দেব। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল। আমরা প্রয়োজনে বেকার বসে থাকব, তবু যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণার সিনেমা চালাতে দেব না। তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রে বহুবার মন্দাবস্থার মুখোমুখি হয়েছে। সেই অবস্থান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এখন ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগছে। এই সময়টুকুতেই একটি চক্র দেশের চলচ্চিত্র ধ্বংস করার সুযোগ নিচ্ছে। তবে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়েই যাব। কারণ এটি আমাদের রুটি-রুজি, সর্বোপরি দেশের চলচ্চিত্র টিকিয়ে রাখার ব্যাপার। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ বলেন, চলচ্চিত্রের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দুটি কাজ করেছিলেন। একটি তিনি ৫৭ সালে চলচ্চিত্রকে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দ্বিতীয়টি স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সিনেমা এদেশে নিষিদ্ধ করেছিলেন। দুঃখের বিষয়, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত এ চলচ্চিত্র ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার নামে প্রতারণার মাধ্যমে চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে। কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি না মেনেই চোরাইপণ্যের মতো যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ সরকারই পারে চলচ্চিত্রকে রক্ষা করতে। আমার কথা হচ্ছে, যৌথ প্রযোজনার নামধারী একজন বা দুজন প্রযোজককে বাঁচানোর প্রয়োজন নেই। বাঁচাতে হবে কোটি কোটি দর্শককে। আমাদের দর্শককে কেন আমরা ভিনদেশি সংস্কৃতির দিকে ঠেলে দেব? এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, দর্শকের কাছে সিনেমা এখন আর একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়। তাদের সামনে বিনোদন পাওয়ার অনেক মাধ্যম রয়েছে। ইউটিউব থেকে শুরু করে অসংখ্য চ্যানেল। এটা বাস্তবতা। এ বাস্তবতা আমাদের চলচ্চিত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। চলচ্চিত্রকে প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলতে হবে। শুধু প্রযুক্তি নির্ভর হলেই চলবে না, বিষয়বস্তু থাকতে হবে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। ষোল কোটি মানুষের ষোল কোটি বিষয় রয়েছে। এগুলো ভাবতে হবে। অভিনয়ে বৈচিত্র আনতে হবে। অশ্লীলতা আমাদের দর্শক পছন্দ করে না, এটা প্রমাণিত। তাই আমাদের সামাজিক, পারিবারিক মূল্যবোধকে ধারণ করে তা আধুনিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। সর্বোপরি আমাদের সরকারকে চলচ্চিত্র বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে। এটা একমাত্র সরকারই পারে। সরকার নিশ্চয়ই চাইবে না বঙ্গবন্ধুর গড়া একটি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাক। তাই আমি মনে করি, চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত নির্ভর করছে একমাত্র সরকারের উপর। সরকারকে উদ্যোগী হয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হল সংস্কার ও প্রতিষ্ঠা করা থেকে শুরু করে ভাল সিনেমার অনুদান বৃদ্ধি করতে হবে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কিছু করা প্রয়োজন তার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কমিটেড হতে হবে। হতাশ হয়ে পড়লে চলবে না। তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনেক সমৃদ্ধ। আমরা ষাটের দশকে উর্দু ও হিন্দি সিনেমাকে হটিয়ে বাংলা সিনেমার প্রসার ঘটিয়েছি। আজকের যে অভিজাত এলাকা গুলশান তা গুলশান সিনেমা হলের নামে হয়েছে। গুলিস্তান নাম হয়েছে গুলিস্তান সিনেমা হলের নামে। আমাদের সিনেমার এই যে শক্তি, এ শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এ থেকে প্রেরণা নিয়ে কাজ করতে হবে।
চলচ্চিত্র বোদ্ধারা মনে করছেন, চলচ্চিত্র মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ মেধাবী নেতৃত্বের সংকট। নেতৃত্ব মানে এটা নয় যে কেউ এসে নেতৃত্ব দেবে। এটা হতে হবে চলচ্চিত্রের ভেতর থেকে। জহির রায়হান, সুভাষ দত্ত, চাষী নজরুল ইসলাম, খান আতা, আমজাদ হোসেন, কাজী জহির, কামাল আহমেদ, নারায়ণ ঘোষ মিতা, আজিজুর রহমানের মতো নির্মাতারা তাদের মেধা ও কাজ দিয়ে চলচ্চিত্রে নেতৃস্থানীয় আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তাদের প্রভাবে চলচ্চিত্রের চাকা ঘুরত। তেমনি অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে নায়করাজ রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, আলমগীর, ওয়াসিম, জাফর ইকবাল, খান জয়নুল, আলতাফ হোসেন, মান্নার মতো চলচ্চিত্র শিল্পীরা নিজস্ব মেধা ও মনন দিয়ে চলচ্চিত্রকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তারা নেতা ছিলেন না, তাদের কাজই তাদের নেতৃস্থানীয় আসনে অধিষ্ঠিত করেছিল। এখন এ ধরনের মেধাসম্পন্ন নেতৃত্ব নির্মাতাদের মধ্যে যেমন নেই, তেমনি অভিনয় শিল্পীদের মধ্যেও নেই। যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা সময়ের কারণে দূরে চলে গেছেন। তবে তাদের পদাঙ্ক অনুসরণকারীরা তাদের ঐতিহ্যকে সামনে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই চলচ্চিত্র আজ চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে চলচ্চিত্রের মানুষদেরই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের মেধা মননকে কাজে লাগাতে হবে। দর্শকের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্যোগী হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্রকে রক্ষার পাশাপাশি তথাকথিত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ঠেকাতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলচ্চিত্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ