পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অলস টাকার পাহাড় সরাতে ঋণ বিতরণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, ১৮টি ব্যাংক। এক্ষেত্রে সর্বাধিক ঋণের যোগান গেছে ক্রেডিটকার্ডসহ অন্যান্য অনুৎপাদনশীলখাতে। এসব ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত বা এডিআর ছাড়িয়ে গেছে, অনুমোদিত সীমা। ইতোমধ্যেই তাদের এডিআর গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামাতে, চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তা আমলে নিচ্ছে না ১১টি ব্যাংক। অথচ বিনিয়োগ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবসময়ই ভোক্তা ঋণের মতো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ বিতরণ নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর সেদিকে নজড় নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিষয়টি মনিটরিং করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, আরো কঠোর হতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকবে। তা না হলে, বিপর্যয় নামবে গোটা আর্থিকখাতে।
ব্যাংকখাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি লাগামহীন হয়ে যাওয়াটাকে কোনভাবেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন। বেপরোয়া ঋণের লাগাম টেনে ধরতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরো কঠোর হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ঋণ চাহিদা না থাকায় অলস টাকার পাহাড় জমে ব্যাংকখাতে। তবে স¤প্রতি পাল্টে গেছে এ পরিস্থিতি। ১৮টি ব্যাংক এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা ছাড়িয়ে গেছে ঋণ-আমানত অনুপাত এডিআর এর গ্রহণযোগ্য সীমা। সম্প্রতি তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহণযোগ্য সীমা ৮৫ শতাংশ হলেও বেসিক ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত দাড়িয়েছে ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ঢাকা ব্যাংকের ৮৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ, দি ফার্মার্সের ৮৫ দশমিক ২১ শতাংশ, আইএফআইসি’র ৮৫ দশমিক ২৩ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ৮৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮৭ দশমিক ১২ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপির) ৮৬ দশমিক ৮৭ এবং রাকাবের ১০৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর ইসলামী ব্যাংকগুলোর গ্রহণযোগ্য সীমা ৯০ শতাংশ হলেও এসআইবিএল ৯০ দশমিক ২৯ শতাংশ, ব্যাংক আল ফালাহর ইসলামিক উইং ৯৩ দশমিক ২৯ এবং প্রাইম ব্যাংকের ইসলামী উইং ৯২ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে।
সূত্র মতে, বেশ কয়েক বছর ধরে বিনিয়োগ মন্দা। চাহিদা না থাকায় ব্যাংকগুলোও আশানুরূপ ঋণ বিতরণ করতে পারছে না। তাই অলস তারল্যের পাহাড় জমেছে ব্যাংকগুলোতে। সেই টাকার পরিমাণ প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার কোটি। এসব টাকা ঋণ হিসেবে বিতরণ করতে না পারায় বর্তমানে বিনিয়োগ করা হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন বিল ও বন্ডে। আবার তা সংগ্রহে আমানতকারীদের গড়ে ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। অথচ বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করে মাত্র আড়াই থেকে ৪ শতাংশ সুদ পাচ্ছে ব্যাংকগুলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, উৎপাদনশীল খাতে ঋণ চাহিদা কম থাকায় ব্যাংকগুলো তাদের অলস অর্থ ক্রেডিটকার্ডসহ অন্যান্য অনুৎপাদনশীলখাতে দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বেপরোয়া কার্যক্রম চালানো ওইসব ব্যাংকের সবগুলোকেই ঋণ আমানত অনুপাত কমিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ৮টি ব্যাংক এতটাই বেপরোয়া ঋণ দিয়েছে যে, তারা এই নির্দেশনা পরিপালন করতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের খাতওয়ারি বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, সর্বাধিক ঋণের যোগান গেছে ক্রেডিটকার্ডসহ অন্যান্য অনুৎপাদনশীলখাতে। ########
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।