পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : কবি-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার অপহরনের নেপথ্যে কারনে খুজে মাঠে নেমেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। অপহরনের আগে পরে তিনি কোথায় ও কাদের সাথে কথা বলেছেন তার কললিষ্ট্র নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরহাদ মজহার ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ঔষধ ক্রয় করতে তিনি সকাল বেলায় বাসা থেকে বের হন। গোয়েন্দা পুলিশ এ সূত্র ধরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শাহবাগে বারডেম হাসপাতালের ১১ তলার ১১০৬ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফরহাদ মজহার।
সূত্র জানায়, অপহরনের সাথে জড়িতদের মধ্যে কবি-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারের ঘনিষ্ট্র কেউ রয়েছেন। না হলে এত সকালে তিনি বাসা থেকে বের হবেন না অপহরনকারীরা জানলো কি করে। তদন্তের সাথে সংশ্লিস্ট্ররা এরই মধ্যে কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখে গ্রেফতারের জন্য ইতিমধ্যে একাধিক অভিযান চালিয়েছে। এজন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কার ফোনে তিনি বের হয়েছিলেন, কে তাকে অপহরণ করে খুলনা নিয়ে যায়, কিভাবে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে? সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে বলে ওই সূত্র জানায়। তদন্তকারী একটি সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার ভোর ৫টা ৫ মিনিটে তিনি বাসা থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। তদন্তে পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিভাবে তাকে মাইক্রোবাসে তোলা হয় তাও নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে খুলনায় নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়ার পর কেন তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন না, সেটা এখনও পরিস্কার হতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ফরহাদ মজহার বলেন, গত সোমবার ভোরে তিনি ওষুধ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হন। এর পরপরই একদল দুর্বৃত্ত তাকে ধরে চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে করে তাকে অপহরণ করেন। অপহরণকারীরা তাকে দিয়ে বাসায় ফোন করিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। তবে বিকালে অপহরণকারী তাকে একটা স্থানে নামিয়ে দেন। পরে তিনি এক রিকশাওয়ালার কাছ থেকে জানতে পারেন ওই এলাকাটি খুলনা। এরপর খুলনার একটি হোটেলে তিনি ৫ শ’ টাকা ভাঙ্গিয়ে রাতে খাবার খান। পরে তিনি বাসের টিকিট কেটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাসে ওঠার পর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর যশোর থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, সোমবার (৩ জুলাই) ভোররাতে মোহাম্মদপুর লিংক রোডের হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। পরে তার স্ত্রী আদাবর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে র্যাব-৬ যশোর নওয়াপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে আদাবর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জবানবন্দি দেয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়। জবানবন্দি দেয়ার পর তিনি নিজ জিম্মায় যাওয়ার আবেদন করলে শুনানি শেষে তার এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ফরহাদ মজহারের অপহরণ মামলা তদন্ত করছে ডিবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।